‘জয়ের রূপকল্পেই ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ’

  27-07-2020 09:40PM

পিএনএস ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ এসময় বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পকার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ দেশ-সমাজকে ডিজিটালাইজ করা, রোবটিক্স প্রযুক্তি প্রভৃতির প্রয়োগে যোগ দেবার জন্যেই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। কারণ প্রথম তিন শিল্পবিপ্লবে আমরা যুক্ত হতে দেরি করেছি। প্রথম শিল্প বিপ্লব বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কারের প্রায় ১০০ বছর পর, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব বিদ্যুৎ আবিস্কারের বেশ কয়েক দশক পর এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব কম্পিউটার আবিস্কারেরও বেশ পরে আমরা সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম।’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে, সেখানে ডিজিটাল ভারতের শ্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে, এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদেরও কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার শ্লোগান দিয়েছিল,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮ সালে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছিল এবং তার ধারণা প্রসূত এই ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যখন দেয়, তখন অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করেছিল, অনেকেই এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের কথা নয়, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পাচ্ছি না, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাশ করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকসেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।’

এখন একজন পিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া ছেলের কাছ থেকে টাকা পেয়ে যায়, শিক্ষার্থীরা এসএমএস করে, ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে তার কাছে পরীক্ষার ফলাফল চলে আসে, বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে বসে কিম্বা বঙ্গোপসাগরের নির্জন দ্বীপ থেকেও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে দরখাস্ত করতে পারে -এটিই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি সব শিক্ষার্থীর স্বপ্নের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করা, উচ্চশিক্ষিত। তার নেতৃত্ব ও সঠিক দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে, তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরো একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী। ১১২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন