একটি স্মৃতি (ভিডিওসহ)

  11-08-2017 01:14AM

পিএনএস (সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম): কোন এক সময় ছিল, যখন সময় পেলেই লিখতে বসতাম। জাস্ট হাতে খড়ি। মন থেকে যা আসতো তাই লিখতাম। কখনো গদ্য আকারে কখনো পদ্য আকারে। গদ্য আর পদ্য যেভাবেই লিখতাম না কেন অধিকাংশই লিখতাম সাথে সাথে মন থেকে সেই পদ্যটিকে সুরের ফ্রেমে আবদ্ধ করতাম। মনে মনে বা আস্তে আস্তে গাইতাম। মিউজিক ছাড়াই গাইতাম বন্ধুদের সাথে বিকেলে কিংবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোথাও গাছের নিচে বা ব্রিজের উপরে বসে। এরকমই দিন কাটতো সে সময়। এখন আর তেমন লিখি না। মনে আছে শেষ যে গানটা লিখেছিলাম তা ২০১৫ সালে। সবচেয়ে বেশি গান লিখেছি স্কুল জীবনে অর্থাৎ ২০০৩ সালের দিক থেকে। প্রেমের গান, বিরহের গান সহ আরো কিছু।

যাই হোক আমি কোন প্রোফেশনাল হওয়ার চিন্তাও কোন দিন করি নাই গান নিয়ে। আর এখনো চিন্তা করি না। শুধু মন থেকে কিছু কথা বের হলে তা সুরের ফ্রেমে বেঁধে গান গাইতেই ভালো লাগতো। তাইতো জানি না গানগুলো কতোটা গ্রামার অনুযায়ি সঠিক। কোন তাল আছে কিনা লয় আছে কিনা তাও জানি না। শুধু লিখতাম আর গাইতাম। এখন আর মন থেকে তেমন কিছু আসে না, তাই আর লিখিও না।

তবে এবারের ঈদুল ফিতর শেষে বেড়াতে গেলাম তুষখালীর হরিণপালা ইকো-পার্কে। দিনটা স্মৃতি হয়েই রইলো কারণ অনেক বছর পরে গাইলাম নিজের লেখা একটা গান বন্ধুর অনুরোধে। যে বন্ধুকে নিয়েই বেশি কাটিয়েছি স্কুল জীবনে গান গেয়ে গেয়ে তার অনুরোধ যেই গানগুলো স্কুল জীবনে গাইতাম তা যেন ভিডিও করি। জানি না তার কথা রাখতে পারবো কিনা তবে.. রাখতে পারলে Travel12 চ্যানেলেই দেয়া হবে পরবর্তি গানগুলো। এজন্য চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন এখনি। যাই হোক সেদিন ইকো পার্কে যে গানটা গেয়েছিলাম সেটি আজ পিএনএস পাঠকদের সাথে ভিডিও সহ শেয়ার করলাম।
ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ

আমি বাংলায় গান গাই
বাংলার মান চাই
বাংলাকে ভালোবেসে, অমর হতে চাই

আমার কাজল কালো চোখে
বাংলার ছবি থাকে
সবুজ শ্যামল গায়ের রূপে
চোখ জুড়িয়ে আসে।

নির্জন সেই দুপুর
সূর্যের কড়া রোদ্দুর
নদীর পাশের কাঁশ বনবে
দেখায় কত মধুর!
{১৩/১০/২০০৬ইং}
{শরণখোলা}


পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন