জনগণের মাঝে ধূমপান নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে মিডিয়ার প্রচেষ্টা দেখা গেলেও দিন দিন ধূমপান যেন বেড়েই চলেছে। অবাধে পথেঘাটে ধূমপান এখন অতি পরিচিত ব্যাপার। তরুণেরা এ ব্যাপারে আরো বেপরোয়া। সন্তান বা নাতির বয়সী অনেক তরুণকে মুরব্বিদের সামনেই অবজ্ঞাভরে সিগারেটের ধোঁয়া উদ্গিরণ করতে দেখা যায়। আবার বয়স্কদের অনেকে একে পানি পান করার মতোই সাধারণ নির্দোষ মনে করেন। কিন্তু এসব রোধে প্রশাসনিক তৎপরতা নেই বলা চলে। প্রকাশ্যে ধূমপান রোধে আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেককেই আইন ভেঙে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়। একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রকাশ্যে ধূমপান বহুলাংশে হ্রাস পেতে পারে। যেকোনো দিন দেশের প্রায় সর্বত্র, বিশেষ করে শহরগুলোতে একই সময়ে পথে-ঘাটে দুই ঘণ্টাব্যাপী ঝটিকা অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় এবং আটক করার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সর্বত্র একই সময়ে তা করতে হ্েব, আগে-পরে করা যাবে না। তা না হলে জানাজানি হয়ে যাবে, তখন অভিযান তেমন সফল হবে না। এই অভিযানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে অন্তত কয়েক লাখ টাকা জমা হবে। তরুণসহ সবার মধ্যে ধূমপান নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমে প্রার্থী ‘ধূমপায়ী’ কি না, তা উল্লেখের কলাম থাকা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফরমেও এটা থাকা প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনপত্র বা ফরমেও একই নিয়ম থাকা আবশ্যক। তবে ব্যবস্থাটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে ধূমপান বহুলাংশে কমবে বলে আশা করা যায়। এতদ্ব্যতীত, তামাকের প্রতিকূল গুণাগুণ পরিবর্তনের জন্য এর জিনগত ব্যাপক গবেষণা অবিলম্বে হওয়া প্রয়োজন। তামাককে ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও গবেষণা করা উচিত।
পিএনএস/বাকীবিল্লাহ্
ধূমপান রোধের সহজ উপায় কী?
14-03-2016 07:25AM