বিশ্বকাপের আগে হাথুরুসিংহের মহাপরিকল্পনা

  22-02-2018 02:34PM

পিএনএস ডেস্ক: ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘিরে বিস্তর পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এবং তাদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সামনে টি-টুয়েন্টি নিধাস ট্রফি। ক্লাব ক্রিকেট চলায় এই টুর্নামেন্টের জন্য এখনো দল ঘোষণা করতে সময় নিচ্ছেন হাথুরুসিংহে। এখানেও রয়েছে তার পরিকল্পনা।

শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, ক্লাব ক্রিকেটে মালিঙ্গার মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা কেমন করেন, সেটা দেখতেই দল ঘোষণায় দেরি করা হচ্ছে।

মালিঙ্গাকে ফেরানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমস্যা হল সে সব ধরনের ক্রিকেট খেলে না। আবার বয়সও একটা বিষয়। তবু কারো জন্য দরজা বন্ধ নয়। ক্লাব ক্রিকেটে দেখা যাক কে কী করে।’

শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং কোচ সামারাবিরাও বিশ্বকাপ ঘিরে তাদের ‘মহাপরিকল্পনা’র কথা জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা পাইপলাইন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। ইনজুরি দূর করে কীভাবে সেরা খেলোয়াড়দের হাতে রাখা যায় সেটা ভাবছি। আর সবকিছুই করা হচ্ছে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে।’ এ তো গেল সার্বিক প্রসঙ্গ। সামারাবিরা এবং হাথুরুসিংহে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য আলাদা-আলাদা সময় বের করে কাজ করছেন।

‘এপ্রিলের আগে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, কুশল জেনিথ পেরেরা এবং আসিলা গুনারত্নেকে সুস্থ করার পরিকল্পনা আছে। শুধু মাত্র ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে নয়। সব ডিপার্টমেন্ট শক্তিশালী করার চেষ্টায় আছি। আশা করছি নুয়ান প্রদীপ এবং দুশমন্ত চামিরাও দ্রুত ছন্দে ফিরবে।’ বলেন সামারাবিরা।

প্রধান নির্বাচক গ্রায়েম ল্যাবরিও প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য আলাদা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সফরে সাফল্যের জন্য তিনি সব কৃতিত্ব হাথুরুসিংহেকে দিয়েছেন।

ল্যাবরি বলেন, ‘আমরা ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। সামনে কয়েকটি টি-টুয়েন্টি সিরিজ আছে। বিশ্বকাপের দেরি প্রায় ১২ মাস। এই সময়ে আমরা টি-টুয়েন্টি ব্যবহার করে টেস্ট খেলোয়াড় বাড়াতে চাই।’

হাথুরুসিংহে সব সময় রিস্ট স্পিনার পছন্দ করেন। বিশ্বকাপের আগে কব্জি ব্যবহার করে বল করা এই স্পিনারদের নিয়ে আলাদা কাজ করছেন তিনি। উপমহাদেশের বাইরে খেলা হলে রিস্ট স্পিনাররা ভালো করেন। ভারতের সাউথ আফ্রিকা সফরে এই চিত্র দেখা গেছে। সামনের বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে। হাথুরু তাই রিস্ট স্পিনারদের দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছেন। আকিলা ধনঞ্জয়াকে লেগ স্পিনার বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি। আকিলা অফস্পিনার হলেও বেশিরভাগ ডেলিভারিতে রিস্ট ব্যবহার করেন। একবার কোহলি আর ধোনি তার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘ধনঞ্জয়া লেগ স্পিন করলে আরও ভালো করতো।’

বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কা ২২টি ওয়ানডে খেলবে। যাকে যাকে বিশ্বকাপে খেলাবেন তাদের কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৭টি ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা হাথুরুসিংহের।

বাংলাদেশ সফরে কুশল মেন্ডিসকে ওপেন করতে দেখা গেছে। কিন্তু বিশ্বকাপে তাকে ওপেনে পাঠাবেন না হাথুরুসিংহে।

‘বাংলাদেশের স্পিনিং উইকেটে কুশল মেন্ডিস ওপেন করেছে। কিন্তু বাউন্সি উইকেটে মেন্ডিস ওপেনে থাকবে না। কে কোন উইকেটে ভালো খেলে, সেটা ঠিক করে আমরা পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছি।’ বলেন ল্যাবরি।

দিনেশ চান্দিমাল সেরা ছন্দে নেই। তার শট নির্বাচন নিখুঁত করতে হাথুরুসিংহে কাজ করছেন। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়ে এমন পরিকল্পনা করার পাশাপাশি মানসিক শক্তি বাড়াতে মনোবিদ ডেকেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ।

বাংলাদেশ সফরে সাফল্যের রহস্য জানাতে গিয়ে সামারাবিরা বলেন, ‘মাইন্ডসেট ঠিক করার কারণেই আমরা বাংলাদেশে সাফল্য পেয়েছি। সাফল্যের পেছনে এটাই মূল কারণ। তাছাড়া আমি এবং হেড কোচ নেট অনুশীলনের সময়ও বাড়িয়ে দেই।’


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন