ওয়ার্নার বল টেম্পারিং কাণ্ডে সন্তান হারিয়েছেন!

  25-05-2018 02:40PM


পিএনএস ডেস্ক: বল টেম্পারিং কাণ্ড সাবেক অজি সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারেই শুধু প্রভাব ফেলেনি। বরং তার পারিবারিক জীবনের উপরও বড় প্রভাব ফেলেছিলো। সেই কলঙ্কিত অধ্যায়ের জেরে নিজেদের অনাগত সন্তানকে হারিয়েছেন ওয়ার্নার দম্পতি। অজি ক্রিকেটের অন্ধকার সেই ঘটনার পর মানসিক চাপ আর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তড়িঘড়ি দেশে ফেরার অল্প কিছুদিন পরেই গর্ভপাত হয় স্মিথের সহধর্মিণী ক্যানডিস ওয়ার্নারের।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়ানোর পর থেকেই সমালোচনার তীর ছুটে আসে তিন অভিযুক্ত অজি ক্রিকেটার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রাফটের দিকে। ক্রিকেট থেকে সাময়িক নির্বাসনেও পাঠানো হয়েছে তাদের। মিডিয়ার সামনে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন স্মিথ-ওয়ার্নার। তারপর কিছুটা অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেই দুঃসহ সময়ে ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো ওয়ার্নার দম্পতির।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নারের সহধর্মিণী ক্যানডিস বলেন, বল টেম্পারিং কাণ্ড টেলিভিশনে দেখেন তিনি। তারপর দেশে ফেরার জন্য তাকে আলাদা বিমানে ২৩ ঘণ্টার দীর্ঘ বিমানযাত্রার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, যা তার মতো গর্ভবতী নারীর জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকারক সাব্যস্ত হয়। ওই বল টেম্পারিং কাণ্ডে মানসিক চাপ আর তড়িঘড়ি করে দেশে ফেরায় তার গর্ভের সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দেশে ফিরে দোষ স্বীকার করে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে ফেলেন ওয়ার্নার। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর মানসিক ও শারীরিক ধকল সইতে না পেরে শৌচাগারেই গর্ভপাত হয় ক্যানডিসের। নিজেদের তৃতীয় সন্তানের এমন করুণ পরিণতি এখনও মানতে পারছেন না ওয়ার্নার দম্পতি। অনাগত সন্তাদের আগমন নিয়ে খুব আনন্দিত ছিলেন দুজনই। কিন্তু এমন নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া তাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত।

ক্যানডিস বলেন, ‘কেউ জানতো না যে আমি অন্তঃসত্ত্বা। বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর চারিদিক থেকে যেভাবে সমালোচনার তীর ছুটে আসছিলো, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমরা। মিডিয়া যেভাবে আমাদের চাপে ফেলছিলো তাতে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছিলো। সে (ওয়ার্নার) আমার জন্য অনেক করেছে। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। শৌচাগারে যখন ছবি- ওয়ার্নার দম্পতি রক্তে ভেসে যাচ্ছিলাম আমি, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম আমার গর্ভপাত হয়েছে। এরপর আমি আর ডেভিড পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন