পিএনএস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপরই হাজারো সমর্থকের মাঝে হারিয়ে গেলেন আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। পশ্চিম গ্যালারি ছেড়ে আকাশি-হলুদরা সমর্থরা মাঠে প্রবেশ করে খেলোয়াড়দের ঘিরে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। নিয়ন্ত্রণহীন সে উল্লাস ছিল ফ্রি-স্টাইলে।
বাধভাঙ্গা সে উল্লাসে সমর্থকরা সঙ্গে পাননি দলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর নায়ক নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডেকে। ম্যাচের জোড়া গোল করা ও টুর্নামেন্টসেরা হওয়া ফুটবলার তখন হাসপাতালে।
ম্যাচের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরি তাকে বাজেভাবে ফাউল করেন। মাটিতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান সানডে। দাঁতে দাঁত লেগে যায়, বেশ কিছু সময়ে জ্ঞান না ফিরলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে।
আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানে দলের ট্রেনার কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমরা তো ভেবেছিলাম সানডে স্ট্রোক করেছেন। এতটাই আঘাত পেয়েছেন যে দাঁত লেগে থাকে অনেকক্ষণ, জ্ঞানও ছিল না। তাই মাঠ থেকেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ফাইনাল শেষে পুরস্কার মঞ্চে উঠে দুটি পুরস্কার নেয়া হয় সানডের পক্ষ থেকে। টুর্নামেন্টসেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার দুটি সানডের পক্ষে গ্রহণ করেন দলের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
সর্বশেষ খবর সানডের অবস্থার একটু উন্নতি হলেও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
মাঠ থেকে হাসপাতালে সানডে
23-11-2018 11:41PM