হেটমায়ার-কটরেল নৈপুণ্যে সমতায় উইন্ডিজ

  23-02-2019 09:13AM


পিএনএস ডেস্ক: ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ভালো শুরুর পর শিমরন হেটমায়ারের দাপুটে সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার পর শেলডন কটরেলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই তিন জনের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে স্বাগতিকরা।

২৮৯ রান তাড়ায় ৪৭ ওভার ৪ বলে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে হারল তারা। মাত্র ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৬০ রানে ফিরে যান ৪০ বলে ৩৬ রান করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়া জো রুটও। তবে এরপর ইংলিশদের খেলায় ফেরান অধিনায়ক মরগান ও স্টোকস। দুজনে মিলে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। কোটরেলের শিকার হওয়ার আগে ৮৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মরগান।

মরগানের বিদায়ের পর জস বাটলারকে নিয়ে ফের ইনিংস মেরামত শুরু করেন স্টোকস। দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। দলীয় ২২৮ রানে আউট হওয়ার আগে স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ বলে ৭৯ রান। এই ইনিংসটি তিনি ২ চার ও ২ ছক্কায় সাজান। দুই শীর্ষ রান সংগ্রাহকের বিদায়ের পর ৩৩ বলে ৩৪ রান করা বাটলার ছিলেন শেষ ভরসা। কিন্তু দলীয় ২৩৩ রানে তার বিদায়ের পর দ্রুতই গুটিতে যায় ইংলিশদের ইনিংস।

বল হাতে ৯ ওভারে ৪৬ রান খরচে ৫ উইকেট তুলে নেন কোটরেল। ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন হোল্ডার আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ওশানে টমাস ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।

শুক্রবার বার্বাডোজে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে পাওয়া ভালো শুরু ব্যর্থ হতে বসেছিল মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। তবে দাপুটে সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন শিমরন হেটমায়ার। ৮৩ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন মাত্র ২২তম ওয়ানডে খেলতে নামা হেটমায়ার। আর তাতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া হেটমায়ারের এটি ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জন ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ৬১ রানের জুটিতে ভালো শুরু এনে দেন গেইল। তবে ব্যক্তিগত ২৩ রানে লিয়াম প্ল্যাংকেটের শর্ট বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ক্যাম্পবেল।

এরপর স্পিনার আদিল রশিদের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের অফ-স্ট্যাম্প খোয়ান গেইল। আউট হওয়ার আগে ৬৩ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৫০ রান করেন গেইল। ব্যক্তিগত ৩২ রানে একবার স্ট্যাম্পিং থেকে বেঁচে যাওয়া শাই হোপ অবশ্য আর এক রান যোগ হতেই বেন স্টোকসের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন। এরপর ফিল্ডার হিসেবে দারুণ ভুমিকা রাখেন রশিদ। টম কুরানের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে দৌড় দেন হেটমায়ার। কিন্তু অপরপ্রান্তে ড্যারেন ব্র্যাভোকে সরাসরি থ্রোতে বিদায় করে দেন রশিদ।

জেসন হোল্ডারকে আরও একটি সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে ফেরান জেসন রয়। এরপর ক্রিজে আসা শেলডন কোটরেল শুরু থেকে ধুঁকতে থাকেন। কিন্তু অপর প্রান্তে দলকে চাপ মুক্ত রাখেন হেটমায়ার। ধীরেসুস্থে ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি মারার বল পেলেই সীমানা ছাড়া করেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

বেন স্টোকসের ফুল টসে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যান হেটমায়ার। ৯৮ রানে ব্যাটিং করা অবস্থায় স্টোকসের বলে ম্যাচে নিজের সপ্তম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে উড ২ উইকেট আর প্ল্যাংকেট, স্টোকস আর রশিদ ১টি করে উইকেট নেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন