৫০ বলে সেঞ্চুরি করলেই বিশ্বকাপ জেতা যায় না

  20-05-2019 05:23PM

পিএনএস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস বলেছেন, আমরা এতদিন মনে করতাম, বিশ্বকাপ জিততে গেলে স্পেশাল কিছু করতে হবে। মানে স্বাভাবিক সময়ে যতটা দেই, তার থেকে বেশি কিছু দিতে হবে। কিন্তু এই ভাবনাটা ঠিক নয়। এটাই একমাত্র সত্যিও নয়। ধারাবাহিকভাবে আমরা যা করছি, বিপক্ষকে হারানোর জন্য আমরা যা যা করি, সেটুকু করলেই চলবে। প্রাথমিক বিষয়গুলো ঠিক থাকা খুবই দরকার। ৫০ বলে সেঞ্চুরি কিংবা ২০ রানে ৭ উইকেট নিলেই, বিশ্বকাপ জেতা যায় না।

১৯৯২ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেভারিট না হয়েও, সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে তারা। এরপর আরও ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় প্রোটিয়ারা। প্রতিটি বিশ্বকাপের ফেভারিটের তকমা গায়ে ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। সেরা খেলোয়াড় স্কোয়াডে রেখে, খেলোয়াড়দের সেরা ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু কোনবারই সাফল্যে নিজেদের রঙ্গীন করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়াটাই এখন অবধি দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অর্জন। তাই চোকার্স- শব্দটি দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে মিশে গেছে। ভীষণ ভালো দল হয়েও কেন জানি বারবার চাপের সামনে ভেঙে পড়েন প্রোটিয়ারা। কী হয়?‌ কেন হয়?‌

সে সব ব্যাখ্যায় না ঢুকে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, হারার ভয় বিশ্বকাপে পেলে চলবে না‌।

বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, আমি বিশ্বকাপে খেলেছি। কী অসম্ভব চাপ থাকে এবং কীভাবে সেটা সামলাতে হয়, জানি। এ কারণেই সতীর্থদের বলছি, খোলা মনে খেল। চাই না, হারার ভয় ওদের মনে জাঁকিয়ে বসুক। ইংল্যান্ডে আমাদের সাফল্য নির্ভর করছে, কীভাবে এই ভয় দূর করে নিজেদের মেলে ধরছি, তার ওপর। প্রত্যেক প্লেয়ারকে নিজের নিজের শক্তি, মনের জোর খুঁজে পেতে হবে।

শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব খুব ভালোই জানেন ডুপ্লেসিস। বলেন, কোচের মতোই আমার দায়িত্ব প্লেয়ারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা। ইতিবাচকভাবে ভাবতে আমি ভালোবাসি। শান্ত, স্থির থাকতেও জানি। এতে আমার নিজের খেলারও সুবিধা হয়। দলের বাকি প্লেয়ারদের আমি সেটা বোঝাতেও পারি। বর্তমানে বেঁচে থাকাটা খুব জরুরি। ধরা যাক, একটা ক্যাচ পড়ল। ওই মুহূর্তে কিছুই তো করার থাকে না। তাই ভেঙে পড়ে লাভ নেই। তার থেকে বরং মানসিকভাবে দৃঢ় থাকাটা জরুরি।

হাসিম আমলা খুব একটা ছন্দে নেই। তা নিয়ে কি চিন্তিত?‌ ডুপ্লেসিস বলেন, ও অভিজ্ঞ। আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই ওকে দলে নেওয়াও হয়েছে। অভিজ্ঞতার আসলে কোনও বিকল্প হয় না। বড় আসরে কীভাবে খেলতে হয় সেটা ও খুব ভালো জানে। রান পাবে কী পাবে না, সেটা নিয়ে তো কারও ব্যাপারেই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। হাসিম খুবই শান্ত স্বভাবের প্লেয়ার। ও যদি ম্যাচ নাও খেলে, হয়তো মার্করামকে এমন পরামর্শ দেবে, যা আর কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

প্রথম একাদশ বাছাই নিয়ে কিছু ভেবেছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা তো প্রথম ম্যাচের আগে ঠিক করব। আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। দেখা যাক সেখানে কী হয়। এটুকু বলতে পারি, পারফরমেন্স দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন