পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন এরশাদ

  15-07-2019 07:02AM



পিএনএস ডেস্ক: দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ অবদান রেখেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়া ক্রীড়ানুরাগী এরশাদ ছিলেন একজন জাদরেল ফুটবলার।

লেফটেন্যান্ট পদে থেকেই সেনাবাহিনীর পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
গত ফুটবল বিশ্বকাপের আগে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারকে এরশাদ বলেন, লেফটেন্যান্ট পদে থেকেই সেনাবাহিনীর পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলাম আমি।

সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ ওই সময়কার ফুটবল স্মৃতি রোমান্থন করে তিনি বলেন, সাত থেকে আটবার দল নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে খেলতে গেছি। তখন পাকিস্তানে যেতে জাহাজে আট থেকে ১০ দিন লেগে যেত। সমুদ্রে প্রচণ্ড ঢেউ হতো, তখন অনেক খেলোয়াড় খেতে পারত না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ত, বমি করত। জাহাজে আমরা খেতেই পারতাম না, তাই ভাত খেতে শুঁটকি ও মরিচ নিয়ে যেতাম।

ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ করে এরশাদ বলেছিলেন, জাহাজ থেকে নেমে সবারই অসুস্থতায় ওজন কমে যেত। তাই একটি ম্যাচও জিততে পারিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে। কিন্তু খেলায় নৈপুণ্য আর নেতৃত্বের কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফুটবল দলে অধিনায়ক করা হয় আমাকে। পাকিস্তান ফুটবল দল নিয়ে একবার ইরানে গিয়েছিলাম খেলতে, কিন্তু তখন সেনাবাহিনীতেও বৈষম্য ছিল। বাঙালি হওয়ার কারণে ইরানের মাঠে আমাকে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।

ফরোয়ার্ডে পজিশনে খেলা এরশাদ বলেছিলেন, আমাদের সেই সময়ের ফুটবল তো আর এখন নেই। এখন ক্রিকেট নিয়েই চিন্তাভাবনা চলছে। ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নিজের অবদান নিয়ে এরশাদ জানিয়েছিলেন, আমি দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে বিকেএসপি গড়েছি। বর্তমান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এটি অসম্পূর্ণ ছিল। টিনের বেড়া ছিল, আমি সংস্কার করেছি। সেখানে প্রতি বছর আবাহনী-মোহামেডানের সমর্থকরা খেলা শেষে মারামারি করত। আশপাশের দোকানপাটে হামলা হতো। তাই মিরপুরে আমরা একটি ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করি। যেটি এখন শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামে পরিচিত।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন