ম্যাচ শেষে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

  04-11-2019 09:39AM

পিএনএস ডেস্ক: দেশের ক্রিকেটে ভীষণ দুঃসময়ে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য ৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে ভারতের দেওয়া লক্ষ্য টপকে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট। পাওয়ার প্লেতে ওভার প্রতি ছয়ের কম রান। মাঝেও চাপ ধরে রাখা। ফিল্ডিং দুর্দান্ত। ম্যাচের শুরুটা যেভাবে করেছিল দল, সেটিই বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

রোববার (৩ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যাচের প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করেন শফিউল ইসলাম। ওই ওভারে চার এসেছিল আরও একটি। তবে ভড়কে না গিয়ে শফিউল ওভারের শেষ বলে দারুণ ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মাকে।

ভারত অধিনায়ক টিকে গেলে সব প্রতিপক্ষের জন্যই জেতা কঠিন। বাংলাদেশের শুরু তাকে ফিরিয়েই। পাওয়ার প্লেতে হয় দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং। মাঝের ওভারগুলোতে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম ও অফ স্পিনার আফিফ হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত। ফিল্ডিং ছিল ক্ষুরধার। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান নিয়ে ভারত যেতে পারে দেড়শর কাছে।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারে লিটন দাসকে হারালেও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস, সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নেয় জয়ের পথে।

তবে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মনে পড়ল শুরুর সময়ের কথা।

“যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম, জয়ের ভিত গড়া হয়েছিল সেখানেই। বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। সব বোলারকে কৃতিত্ব দিতে হবে, বিপ্লব, আল আমিন, শফিউল, আফিফ…। ফিল্ডিং দারুণ হয়েছে আমাদের। সেই মোমেন্টাম পরে ব্যাটিংয়ে বয়ে নিতে পেরেছি আমরা।”

গোটা ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব ছিল দুর্দান্ত। বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আক্রমণে আনেন। ১৫ ওভারের মধ্যেই ব্যবহার করেন ৮ জন বোলার। দলের মূল বোলার বলে বিবেচিত মুস্তাফিজুর রহমানের ২ ওভার বাকি থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় বোলিং দেন অন্যদের। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য নেতৃত্বের কৃতিত্বও দিলেন দলকেই।

“ছেলেরা ভালো করেছে বলেই নেতৃত্ব ভালো মনে হচ্ছে। ওটাই আসল। মুস্তাফিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বটে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, ওই সময়টায় শফিউল, আফিফ আর আল আমিনদের ব্যবহার করলেই বেশি কাজে লাগবে।”

রান তাড়ায় এক পর্যায়ে কাজ কঠিন হয়ে উঠেছিল অনেক। সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। মুশফিক উইকেটে থেকে সম্ভব করেছেন সেটিকে। অধিনায়কের প্রশংসা করলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে, স্তুতিতে ভাসালেন অন্যদেরও।

“মুশি যেভাবে ব্যাট করেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে। মাঝের সময়টায় মুশি ও সৌম্য নিজেদের স্নায়ু সামলে জুটি গড়ে তুলেছে। নাঈমকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। অভিষেক ম্যাচ হলেও সে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ জয়।

এর আগে টি-টোয়েন্টির হাজারতম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন