বিপিএলে ফিক্সিং করতে গিয়ে যেভাবে ‘বোকা’ সাজেন জামশেদ

  10-12-2019 03:15PM

পিএনএস ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার নাসির জামশেদ ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। সোমবার আদালত জানায়, তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিং চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পাকিস্তানের হয়ে প্রায় ৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জামশেদ বিপিএলে ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেন ২০১৬ সালে, দুইবার। মজার ব্যাপার হল একবারও তিনি সফল হননি।

সেবার রংপুর রাইডার্সে খেলেন জামশেদ। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে একটি ওভারের প্রথম দুই বল থেকে কোনো রান না করার প্রতিশ্রুতিতে বাজিকরদের থেকে টাকা নেন। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান পূর্ব নির্ধারিত সংকেত না দেওয়ায় সেই ফিক্সিংয়ের শর্ত বাতিল হয়। ওই ম্যাচে ব্যাটে নির্দিষ্ট রংয়ের গ্রিপ ব্যবহার করার কথাও ছিল তার। ডিসেম্বরের আরেকটি ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে তার ফিক্সিং করার কথা ছিল। সেই ম্যাচ খেলতে পারেননি।

বিপিএলে এমন কাণ্ডের পাশাপাশি পিএসএলে একটি বড় ম্যাচে অন্য খেলোয়াড়দের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে তাকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় পিসিবি। এর পর থেকে চলছিল অন্যান্য অভিযোগের বিচার। জামশেদ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। সেই বিচার শেষ হওয়ার পর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন।

ওই সময় তদন্তের পর পিসিবি জানায়, জামশেদই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির মধ্যমণি। বাজিকরদের হয়ে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেওয়া ও তাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের কাজ করতেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

দুই বছর ধরে অভিযোগ অস্বীকার করতে থাকা জামশেদ শেষ পর্যন্ত ফেঁসে গেলেন ক্রাউন কোর্টে। ফেব্রুয়ারিতে রায় ঘোষণা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে জেল জরিমানার মুখে পড়বেন এক সময়ের সম্ভাবনাময় এই ক্রিকেটার।

জামশেদ কেমন আশা জাগিয়ে ক্রিকেটে এসেছিলেন সেটি তার শুরুর সময়ের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই করেছিলেন ফিফটি। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১২ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে। সেই বছরই ভারত সফরে সেঞ্চুরি করেছিলেন টানা দুই ওয়ানডেতে!

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন