মাংসাশী সরীসৃপের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা!

  23-12-2017 04:04PM

পিএনএস ডেস্ক:একটা সময় যখন পৃথিবীতে মনুষ্য বসতি ছিল না, তখন জলে-স্থলে ঘুরে বেড়াত অদ্ভুত সব প্রাণীরা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে চলে গিয়েছে তারা। বিজ্ঞানীরা কিন্তু ক্রমাগত খুঁজে চলেছেন পৃথিবীর এই সব প্রাণীকুল সম্পর্কে নানা তথ্য। বিশ্বের নানা প্রান্তে, কখনও পানিতে, কখনও বা স্থলে, তাদের জীবাশ্ম থেকে জানা যায় পৃথিবী সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য।

যেমন, চলতি বছরে ভারতের মাটিতেই আবিষ্কৃত হয় এক অদ্ভুত দর্শন মাছের। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি জুরাসিক যুগের সামুদ্রিক প্রাণী, নাম ‘ফিশ লিজার্ড’। এবার, এমনই এক জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে আন্টার্কটিকায়। বৃহদাকার এক সামুদ্রিক সরীসৃপ। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বছর আগে। তাঁরা আরও জানান, আন্টার্কটিকার প্রাচীনতম প্রাণী সম্ভবত এটিই।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘টেকটাইমস’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্টার্কটিকায় এই জীবাশ্ম আবিষ্কারের মূলে রয়েছেন এক দল আর্জেন্টিনীয় গবেষক। তাঁদের মতে, জুরাসিক যুগের শেষের দিকে, এক ধরনের মাংসাশী সরীসৃপ ছিল যার ৪টি পাখনা থাকত। প্রায় ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই মাংসাশী প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্লেসিওয়র’। আন্টার্কটিকার যে জায়গায় ওই জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ বিস্মিত গবেষকরা। কারণ, ওই জায়গায় যে ধরনের পাথর রয়েছে তা জীবাশ্ম সংরক্ষণের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়।

এখনও পর্যন্ত আর কোনও তথ্য জানা যায়নি সদ্য আবিষ্কৃত এই মাংসাশী সরীসৃপ সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, প্লেসিওয়র ঘরানার প্রাচীনতম জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল জার্মানিতে, ২০১৩ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের লক নেস হ্রদের মূল খ্যাতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ঠিক নয়। তাতে বাসরত এক রহস্যময় প্রাণীকে ঘিরে। যাকে, এ বছর ন’বার দেখা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই প্রাণীটিও ‘প্লেসিওয়র’ প্রজাতির। ফলে, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই যে মাংসাশী সরীসৃপ একেবারে অবলুপ্ত হয়ে গেছে।

সূত্র: এবেলা

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন