মহাকাশের জঞ্জাল পরিষ্কার করবে যে প্রতিষ্ঠান

  16-02-2018 02:42AM

পিএনএস ডেস্ক: মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতি বছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে মহাকাশযান। এসব যান থেকে প্রচুর জঞ্জাল নির্গত হচ্ছে, যা পৃথিবীর কক্ষপথে জমা হচ্ছে। এসব জঞ্জাল অন্যান্য মহাকাশযানের সঙ্গে সংঘর্ষে বিপদের আশঙ্কা যেমন বাড়ছে তেমন পৃথিবীতে পড়েও মানুষের প্রাণহানীর আশঙ্কা থাকছে।

মহাকাশ জঞ্জালের এ ঝুঁকি কমাতে উদ্যোগী হয়েছে জাপানি একটি প্রতিষ্ঠান। অ্যাস্ট্রোস্কেল নামে সেই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে মহাকাশে তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। এরপর সেটি শক্তিশালী চুম্বকের মাধ্যমে মহাকাশের জঞ্জালগুলো টেনে নেবে।

আমাদের দৈনন্দিন মোবাইল পরিসেবা, আবহাওয়া বার্তা, রেডিও-টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার, বিশ্বের ব্যাপক অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া, অনেকটা মহাকাশ প্রযুক্তি নির্ভর। এজন্য মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে বহু কৃত্রিম উপগ্রহ। এসব উপগ্রহের আয়ুস্কাল শেষ হওয়ার পর তারা স্বাভাবিকভাবে জঞ্জালে পরিণত হয় ও নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবী পরিক্রমা করতে থাকে এবং কখনও তা বিযুক্ত, টুকরো টুকরো হয়ে মাধ্যাকর্ষণের টানে পৃথিবীতে পতিত হয়।

গবেষকরা বলছেন, প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণরত এসব মহাকাশ জঞ্জাল মহাকাশচারীদের জন্য বিপজ্জনক। এসবের সঙ্গে কখন সংঘাত ঘটে যায় এ বিষয়টি নিয়ে মহাকাশচারীরা যেমন উদ্বিগ্ন থাকেন তেমন বহু মূল্যবান স্যাটেলাইট ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

এক গবেষণায় দেখা যায় মহাকাশে কক্ষপথে প্রায় ১ সেন্টিমিটারের চেয়ে ছোটো, ১৭ কোটি বস্তু প্রদক্ষিণ করছে। ১ থেকে ১০ সেন্টিমিটারের প্রায় সাত লাখ এবং তার চেয়ে বড় প্রায় ২৯ হাজার বস্তু কক্ষপথে রয়েছে। আর এসব বস্তু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই উদ্যোগ নিয়েছে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৯ সালে শুরু হওয়া মিশনে দুটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে চায় অ্যাস্ট্রোস্কেল। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে জঞ্জালের অবস্থান চিহ্নিত করবে এবং অন্যটি সেই জঞ্জালকে তাদের লম্বা বাহুর সামনে আটকানো শক্তিশালী চুম্বকের সাহায্যে টেনে নেবে। পর্যাপ্ত জঞ্জাল সংগ্রহ করা হলে স্যাটেলাইটটি সেগুলোসহ পৃথিবীতে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যাবে।

তবে অ্যাস্ট্রোস্কেল একাই মহাকাশের জঞ্জাল পরিষ্কার করবে না, একই ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশে বিশাল জাল তৈরি করা হবে। সেই জালেই ধরা হবে যত জঞ্জাল। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাস্ট্রোস্কেলই এক্ষেত্রে প্রথম এগিয়ে এল।

সূত্র : সিএনএন

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন