ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১ সংশোধনীর প্রস্তাব

  05-07-2018 03:41AM

পিএনএস ডেস্ক: জাতীয় সংসদে তোলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় ১১টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তবে কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলো তোলা হলেও কোনো সংশোধনী চূড়ান্ত হয়নি। আরও যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আর ছিলেন কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।

গণমাধ্যমের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।

সাংবাদিক প্রতিনিধিরা বুধবার সংশোধনীর বিষয়ে কোনো মত দেননি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর ১৬ জুলাই সংসদীয় কমিটি পরবর্তী সভায় মতামত জানাবেন তারা।

বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ।
সংশোধনীতে প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের’শিরোনামে পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান কমানো, ২৫ ধারার একটি উপধারা বাতিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা ও কিছু শব্দগত পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু বিষয়ে সাংবাদিকদের আপত্তি ছিল। সংসদীয় কমিটি ১১টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রস্তাব করেছে। সাংবাদিকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিজেদের অবস্থান জানাবেন। ১৬ জুলাই আবার বৈঠক হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হয়েছে। এর সংজ্ঞা হবে সংবিধানের প্রস্তাবে যে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, তা-ই এখানে প্রযোজ্য হবে। ২৫ নম্বর ধারার ‘খ’ উপধারা (এমন কোনো তথ্য সম্প্রচার বা প্রকাশ করা, যা কোনো ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে) বাতিল এবং সব মিলে দুটি উপধারা করা, ২১ ধারায় সাজা যাবজ্জীবনের ক্ষেত্রে ১৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ সাজার কথা আইনে বলা হয়েছে। অপরাধ বিবেচনায় আদালত ঠিক করবেন সর্বনিম্ন সাজা কত দিন হবে। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সাজা ও জরিমানার পরিমাণ কমানো এবং কিছু শব্দগত পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতের শাস্তির মাত্রা সাত বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যে পরিবর্তনগুলো করা প্রয়োজন ছিল সেগুলো করা হয়েছে। ওনারা (সাংবাদিক পক্ষ) এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে নিজস্ব ফোরামে আলোচনা করবেন।’

বৈঠক শেষে মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দফা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা সেগুলো পড়ে দেখার সুযোগ পাননি বলে তাৎক্ষণিকভাবে মতামত দিতে প্রস্তুত ছিলেন না। এসব সংশোধনীর বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন