অনলাইনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশের অধিকাংশ তরুণ-তরুণী

  06-02-2019 11:59AM

পিএনএস ডেস্ক :অনলাইনে দেশের ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে নিজেদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলছে। এমনটাই বলছে ইউনিসেফের একটি সমীক্ষা।

মঙ্গলবার রাজধানীর জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক আলোচনা সভায় ‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শিরোনামে নিজেদের সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরে ইউনিসেফ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে তারা সেই ‘বন্ধুদের’ সঙ্গে সরাসরি দেখা করার কথাও স্বীকার করে।

দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক হাজার ২৮১ জন স্কুল-বয়সী শিশু অংশ নেয়। দেশের ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে প্রবেশ শুরু করে। ৬৩ শতাংশ শিশু প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান হিসেবে তাদের নিজেদের কক্ষটিকেই ব্যবহার করে। এটা ‘বেডরুম কালচার’-এর ব্যাপকতা নির্দেশ করে। এটি অপেক্ষকৃত কম নজরদারির মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করছে।



বাংলাদেশে উচ্চমাত্রায় অনলাইনে প্রবেশাধিকারের সুযোগ ও ব্যবহারের দিক থেকে ছেলেরা (৬৩%) মেয়েদের (৪৮%) চেয়ে এগিয়ে আছে। ইন্টারনেটে নিয়মিত সবচেয়ে বেশি অনলাইন চ্যাটিং এবং ভিডিও দেখায় সময় ব্যয় করে শিশুরা। প্রতিদিন গড়ে ৩৩ শতাংশ সময় অনলাইনে চ্যাটিং এবং ৩০ শতাংশ সময় ভিডিও দেখা হয়ে থাকে।

সংস্থাটি জানাচ্ছে, অনলাইনে হয়রানি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। একই সঙ্গে এগুলো অনলাইনে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা অনলাইনে ভয়ভীতির শিকার হয়, তাদের অ্যালকোহল এবং মাদকে আসক্ত হওয়া এবং স্কুল ফাঁকি দেয়ার হার বেশি। এছাড়াও তাদের পরীক্ষায় ফল খারাপ করা, আত্মসম্মান কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন