মঙ্গলে শক্তিশালী রোভার পাঠাচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি

  11-02-2019 11:04AM


পিএনএস ডেস্ক: সৌরজহৎ নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। চলছে গবেষণাও। আর সেই ধারাবাহিতায় আগামী বছর মঙ্গল গ্রহে নতুন রোভার মহাকাশযান পাঠাচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা ‘এসা’)। যা মঙ্গলে পৌঁছবে ২০২১ সালে।

ইএসএ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যত রোভার পাঠানো হয়েছে মঙ্গলে এটি তাদের মধ্যে বৃহত্তম। রোভারটির নামকরণ করা হয়েছে নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হওয়া এক বিশিষ্ট ইংরেজ মহিলা বিজ্ঞানীর নামে। ‘রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন’। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি ‘রসকসমস’ মঙ্গলে যৌথভাবে পাঠাচ্ছে ওই রোভার।

জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত একক ডিঅক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ)-এর গঠন আবিষ্কারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রোজালিন্ডের। যদিও তিনি কোন দিন নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হননি। অথচ, তাঁর দেখানো পথেই ডিএনএ-র ডাব্‌ল হেলিক্স (প্যাঁচানো মইয়ের মতো সজ্জা) মডেল দেওয়ার জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন জন বিজ্ঞানী। সেই হতভাগ্য ইংরেজ মহিলা বিজ্ঞানীকেই সম্মান জানাতে অভিনব পন্থা বেছে নিল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। রোজালিন্ডের নামেই নামকরণ করা হল ইএসএ'র নতুন রোভারের।

ইএসএ জানিয়েছে, নতুন রোভারটির কাজ হবে মঙ্গলের ওপর ঘুরে ঘুরে প্রাণের উপাদান খোঁজা। তাই পৃথিবীতে প্রাণের প্রধান উপাদানের গঠনকাঠামো যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, সেই রোজালিন্ডের নামেই রাখা হয়েছে রোভারটির নাম। কী নাম রাখা যায়, তা নিয়ে মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। জমা পড়েছিল ৩৬ হাজার নাম। তাদেরই মধ্যে থেকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বেছে নিয়েছে রোজালিন্ডের নাম।

মঙ্গলের ঘোরার পাশাপাশি মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে সেখানকার নানা রকমের উপাদান সংগ্রহ করবে। তারপর সেই সব উপাদান বিশ্লেষণ করবে রোভার ‘রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন’। তা থেকেই জানা যাবে মঙ্গলের মাটির নীচে প্রাণের উপাদানের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে কি না বা কোন কালে ছিল কি না।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন