সিলেটের ১৬২ পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই

  07-07-2019 11:11AM


পিএনএস ডেস্ক: সিলেটের নগরীর ১৬২ পয়েন্টে পাওয়া যাবে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৬২ এলাকায় এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কাজ এ মাসে শুরুর পর আগামী নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানা গেছে। সিলেট নগরবাসীসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও বিনামূল্যের এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জানা গেছে, শুরুর দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ৬২টি ওয়াফাই জোন স্থাপন করা হবে। এ ওয়াইফাই জোন দেখভালের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর এই কমিটি বৈঠক করে প্রকল্পের পর্যালোচনা করবে। কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে পুরো সিলেট নগরী ফ্রি ওয়াইফাইয়ের আওতাধীন হতে পারে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কার্যাদেশ হয়ে গেছে। চলতি জুলাই মাসেই কাজ শুরু হবে।

ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-পরিচালক মধুসুদন সাহা বলেন, সিলেট নগরীর ৬২টি এলাকায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা চালু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রথম বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এসব ওয়াইফাই জোন দেখভাল করবে । পরবর্তীতে এগুলো তদারকি করবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চৌকিদেখিতে ১টি, আম্বরখানা পয়েন্টে ৪টি, দরগা গেইটে ২টি, চৌহাট্টায় ৩টি, জিন্দাবাজারে ৪টি, বন্দরবাজার ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় ৩টি, হাসান মার্কেট এলাকায় ৫টি, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস এলাকায় ২টি, সার্কিট-হাউস জালালাবাদ পার্ক এলাকায় ৩টি, ক্বিন ব্রিজের দুই প্রান্তে ৬টি, রেলওয়ে স্টেশনে ৪টি, বাস টার্মিনালে ৩টি, কদমতলী পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৫টি, হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ৩টি, আলমপুর পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ২টি, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এলাকায় ৩টি, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ২টি, উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে ২টি, শহাজালাল উপশহর ই-ব্লক ও বি-ব্লকে ১টি করে ২টি, টিলাগড় পয়েন্টে ৩টি, এমসি কলেজ এলাকায় ২টি, শাহী ঈদগাহ এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া সড়কে ২টি, দক্ষিণ বালুচরে ১টি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১টি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।

এছাড়াও সিলেট নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টে ২টি, মিরাবাজার সড়কে ১টি, রায়নগর এলাকায় ১টি, সোবহানীঘাট পুলিশ স্টেশন এলাকায় ২টি, ধোপাদিঘীরপাড় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে ১টি, বন্দরবাজার জামে মসজিদ এলাকায় ২টি, নয়াসড়ক পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৪টি, কাজীটুলা এলাকায় ২টি, চৌহাট্টা সড়কে ৩টি, হাউজিং এস্টেট সড়কে ১টি, সুবিদবাজারে ১টি, মিরের ময়দানে ১টি, পুলিশ লাইন সড়কে ১টি, রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে ২টি, মদন মোহন কলেজ এলাকায় ১টি, মির্জাজাঙ্গাল সড়ক এলাকায় ২টি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট এলাকায় ১টি, খুলিয়াপাড়া এলাকায় ১টি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকায় ১টি, তালতলা হোটেল গুলশান এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সেতু এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সড়কে ২টি, খোজারখলা সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় ১টি, বাগবাড়ি ওয়াপদা মহল্লা এলাকায় ১টি, পাঠানটুলায় ১টি, মদিনা মার্কেট পয়েন্টে ২টি, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ২টি এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এসব এক্সেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকতে পারবেন। এরমধ্যে একসঙ্গে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধাভোগ করতে হলে প্রত্যেককে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যুক্ত হতে হবে। যুক্ত হওয়ার প্রথম ধাপে মোবাইল বা ল্যাপটপে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ফিরতি এসএমএসে একটি কোড আসবে। সেই কোড ইনপুট করলেই লগইন সম্পন্ন হবে। ফিল্টারিং করা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। আর ডাউনলোডে থাকবে সীমাবদ্ধতা।

ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের সব তথ্য জমা থাকবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডাটাবেজে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন