মুখ থুবড়ে পড়েছে নোকিয়া!

  25-10-2019 03:33PM

পিএনএস ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন মোবাইল ফোন বলতেই মানুষ বুঝতো নোকিয়ার হ্যান্ডসেটের কথা। সেই নোকিয়ার ব্যবসা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নোকিয়া। ১৯৯১ সালের পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম রেকর্ড হারে কমেছে।

গতকাল নোকিয়ার শেয়ারমূল্য প্রায় ২৫ শতাংশে নামে। ফিনিশ টেলিকম যন্ত্রাংশ বিক্রেতা এক চতুর্থাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর এ পর্যায়ে নামে নোকিয়ার শেয়ারমূল্য। ২০২০ সালের মধ্যে মুনাফা কমিয়ে দিয়ে আগামী ছয় মাসের জন্য লভ্যাংশ স্থগিত করতে পারে কোম্পানিটি।

আগামী বছরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সুবিধাযুক্ত ফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে নোকিয়া। এ ফোনের দাম বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফাইভ–জি ফোনের তুলনায় সাশ্রয়ী হবে বলে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা। ফোনটি তৈরিতে এইচএমডি গ্লোবালের পাশাপাশি হুয়াওয়ে কাজ করছে।

নোকিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব সুরি বলছেন, ফাইভ-জি ইনস্টলেশনের জন্য নতুন সরঞ্জাম তৈরি করা ব্যয়বহুল। এসব যন্ত্রের অতিরিক্ত দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। বিশেষ করে চীনে নোকিয়ার পণ্য বিক্রি কমে গেছে।

ফ্রান্সের টেলিকম যন্ত্রপাতি নির্মাতা অ্যালকাটেল-লুসেন্টকে ২০১৬ সালে কিনে নেয় নোকিয়া। অ্যালকাটেল-লুসেন্ট ও ফাইভ-জি নিয়ে নোকিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো হলো, এর নেটওয়ার্ক গবেষণা ও উন্নয়নের মতো, যা এক বছর আগে একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৭% হ্রাস পেয়েছিল।

আয়ের এই অবস্থা সত্ত্বেও এটা বলতে হয় যে, টেলিকম সরঞ্জামের বাজারে নোকিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। নোকিয়ার মাত্র দুটি বড় প্রতিযোগী রয়েছে; সুয়েডীয় টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এরিকসন এবং চীনা বহুজাতিক কোম্পানি হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে তাদের পণ্যগুলো খুবই সস্তায় বিক্রি করে। আর শেয়ার বাজার দখলে দেরিতে হলেও নিজেদের পণ্যে ছাড় দিতে শুরু করেছে এরিকসন। তবে নোকিয়ার বাজারটা এরিকসনের মতো না। নোকিয়ার বহুমাত্রিক পণ্য ও সেবা রয়েছে যেগুলো একটির সাথে আরেকটির একটা সম্পর্ক রয়েছে। আবার হুয়াওয়ের বড় একটা বাজার থাকলেও চীনা সরকারের সাথে যোগসাজস রয়েছে এমন মার্কিন সন্দেহ প্রতিষ্ঠানটিতে মূল বাজার থেকে দূরে রেখেছে।

শেষ পর্যন্ত, আধিপত্য একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য এক ধরনের অভিশাপের কারণও হয়ে উঠতে পারে। প্রথমদিকে যেসব বিষয়গুলো একটি প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশে মূল ভূমিকা রাখে একসময় দেখা যায় সেগুলোই ওই প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ধরে রাখতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন