ভিন্ন পৃথিবীতে ফিরলেন তারা

  17-04-2020 07:52PM


পিএনএস ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশ্যে গত বছরের সেপ্টম্বরে পৃথিবী ছেড়েছিলেন রাশিয়ার নভোচারী ওলেগ স্ক্রিপোচকা ও যুক্তরাষ্ট্রের নারী নভোচারী জেসিকা মেয়ার। এর আগে জুলাই থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নভোচারী অ্যান্ডু মর্গান।


তারা যখন মহাশূন্যে যাত্রা করেন তখন পৃথিবীতে করোনাভাইরাসের কোনো সংক্রামক ছিল না। যখন তারা ফিরে এলেন তখন পুরো বিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত।

শুক্রবার কাজাখাস্তানে নভোচারীদের বহনকারী ক্যাপচুলটি সফলভাবে অবতরণ করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওলেগ স্ক্রিপোচকা ও নারী নভোচারী জেসিকা মেয়ার ২০৫ দিন আর মর্গান ২৭২ দিন সেখানে অবস্থান করার পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহকাশ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান নাসা একটি ভিডিও পোস্ট করে। এতে দেখা গেছে, ক্যাপসুল থেকে তিন নভোচারীকে নামিয়ে আনতে মাস্ক পরা কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে যান।

উদ্ধারকারীদের কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল; যাতে আগতরা তাদের দ্বারা সংক্রমিত না হন।এছাড়া তাদের করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়।

এর আগে আইএসএস থেকে ভিডিও বার্তায় জেসিকা মেয়ার জানিয়েছিলেন, পৃথিবীতে যে পরিবর্তন ঘটে গেছে তা মহাকাশ থেকে বোঝার উপায় নেই। কারণ মহামারীর সময়টিতেও মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে আগের মতোই অত্যাশ্চর্য লাগছে।

স্বাভাবিক সময়ে নভোচারীরা কাজাখাস্তানে অবতরণ করার পর তাদের কাছের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তারা যার যার দেশের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সম্প্রতি কাজাখাস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে দেশটির প্রায় সবগুলো বিমানবন্দরই বন্ধ।

এমন পরিস্থিতিতে তিন নভোচারীকে নিয়ে যাওয়া হয় কাজাখাস্তানেরই দ্য বাইকনুর স্পেস লঞ্চ প্যাডে। কাজাখাস্তানের কাছ থেকে লিজ নিয়ে প্যাডটি চালাচ্ছে রাশিয়া। দ্য বাইকনুর স্পেস লঞ্চ প্যাডে যাওয়ার পর রুশ মহাকাশচারীকে নিয়ে যাবে রাশিয়া। সেখান থেকেই নাসার পাঠানো আরেকটি বিমানে দেশে ফিরবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই মহাকাশচারী।

বাড়ি ফেরার পর তাদের কঠোর নিয়েমের মধ্যে রাখা হবে। তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকরা। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে রাশিয়াতেও।

পৃথিবীতে ফেরার আগে এক ভিডিও কলে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারী জেসিকা মেয়ার বলেন, সাত মাস পর ফিরে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের জড়িয়ে ধরতে না পারাটা খুবই কষ্টের। আমার তো মনে হচ্ছে, মহাকাশের চেয়ে পৃথিবীতেই বরং আমি আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন