করোনার নতুন উপসর্গ প্রকাশ

  26-04-2020 03:55PM

পিএনএস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নতুন উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে ত্বকের কিছু সমস্যা। করোনায় আক্রান্ত হলে বুকে-পিঠে ও হাত-পায়ে র্যা শ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এসব উপসর্গ বেশি দেখা দিচ্ছে শিশু ও কমবয়সীদের মধ্যে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম দেয়া হয়েছে ‘কোভিড ফিট’। এই উপসর্গ প্রথম দেখা দেয় ইতালিতে। তার পর ফিনল্যান্ড, স্পেন, কানাডা, আমেরিকা থেকেও এমন উপসর্গের খবর আসতে শুরু করেছে।

দেখা যায়, যেসব অঞ্চলে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি, সেখানেই এজাতীয় সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। মূলত শীতপ্রধান দেশগুলোতে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলেও ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতেও এমন সমস্যা যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।

নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে এখন প্রতিদিনই নতুন অভিজ্ঞতার মুখামুখি হচ্ছেন চিকিৎসক-গবেষকরা। কারণ প্রতিনিয়ত এই রোগের উপসর্গের পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো দেশে হঠাৎ স্বাদ বা গন্ধের বোধ চলে যাচ্ছে। কখনও বা দেখা দিচ্ছে ‘পিঙ্ক আই'। সে ক্ষেত্রে আবার বদলে যাচ্ছে চোখের রঙ। এখন নতুন করে যোগ হলো কোভিড ফিট।

কোভিড ফিট কী?

কোভিডের এই নয়া উপসর্গে হাত বা পায়ের একটা নির্দিষ্ট অংশজুড়ে ফ্রস্ট বাইটের মতো হয়। বরফ থেকে যেমন ঘা হয় পায়ে, ঠিক তেমনই। প্রাথমিক পর্যায়ে তা লালচে ফোস্কার মতো দেখায়। সেই অংশের রঙেও বদলে যায়। সঙ্গে দেখা দেয় চুলকানি। এ ছাড়া পায়ের পাতা, হাতের তালু, হাত-পায়ের আঙুলে এই সমস্যা বেশি হয়।

কোভিড ফিট কেন হয়?

ত্বক বিশেষজ্ঞ সুকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বিদেশি জার্নাল একে ‘অ্যাকিউট অ্যাক্রোইস্কিমিয়া’ বলেও ডাকছে। তবে এ উপসর্গ বিনাপরামর্শে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন খাওয়ার জন্যই কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।

ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ী জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইতালি থেকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে প্রথম এ ধরনের সমস্যার কথা জানা যায়।

কোভিড আক্রান্ত ৮৮ রোগীকে স্টাডি করে তারা দেখেন– প্রায় ২০ শতাংশের মধ্যে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি ত্বকেও কিছু সমস্যা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনের এ সমস্যা ছিল শুরু থেকেই। ১০ জনের হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর। তাদের মধ্যে ১৪ জনের ত্বকে লাল র্যা শ হয়েছে, যাকে বলে ‘এরিথিমেটাস র্যা শ’, আর ৩ জনের হয়েছে ‘আর্টিকেরিয়া’, একজনের জলবসন্তের মতো ফোস্কা। সেটি আবার শুধু হাত-পায়ে নয়, বরং বুকে ও পিঠে বেশি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন