পানির নিচে মাইক্রোসফটের ডাটা সেন্টার

  18-03-2016 07:42AM

পিএনএস: তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ বজায় রাখতে আগামী দিনে প্রয়োজন পড়বে অধিক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টারের। আর সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ডাটা সেন্টারগুলোর জন্য অদ্ভুত জায়গা ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ফেসবুকের একটি ডাটা সেন্টার রয়েছে সুইডেনের লুলিয়াতে যেখানে বরফের জন্য অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাপমাত্রাকে প্রতিষ্ঠানটি কাজে লাগিয়েছে ডাটা সেন্টারটিকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য।

প্রাকৃতিক এই কুলিং সিস্টেম ব্যবহারের ফলে প্রতিষ্ঠানটির কুলিং সিস্টেমের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হতো তা অনেকটাই কমে গেছে। এ ছাড়াও আয়ারল্যান্ডে একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করছে, যেখানে বাতাসের শক্তিকে ব্যবহার করা হবে। অন্য দিকে গুগলের একটি ডাটা সেন্টার রয়েছে ফিনল্যান্ডের হামিনায়, যেখানে ডাটা সেন্টারটিকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য সমুদ্রের পানি ব্যবহার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাইক্রোসফট তাদের নতুন একটি ডাটা সেন্টারের কথা জানিয়েছে যা স্থাপন করা হচ্ছে পানির নিচে।

‘প্রজেক্ট ন্যাটিক’ নামের এই প্রকল্প সফল হলে মাইক্রোসফটের তথ্যমতে যে ব্যবহারকারীরা সমুদ্রের কাছাকাছি থাকেন তাদের ডাটা ল্যাটেন্সি অনেকটাই কমে যাবে।

মাইক্রোসফটের এই প্রজেক্ট ন্যাটিকের কনসেপ্ট মূলত ছিল প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মীর। তিনি মাইক্রোসফটে কাজ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সাবমেরিনের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে ২০১৪ সালের শেষের দিকে কনসেপ্টটির উপর ভিত্তি করে প্রথম প্রোটোটাইপের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছিল। পানির নিচে ডাটা সেন্টার স্থাপন করলে এটি যে শুধু সেন্টারের কনটেন্টগুলোকেই ঠাণ্ডা রাখবে তা কিন্তু নয়, বরং এর আরো কিছু সুবিধা রয়েছে।

মাইক্রোসফটের মতে, পৃথিবীর অর্ধেক সংখ্যক লোকের বসবাস সমুদ্রপৃষ্ঠের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যেই, তাই সহজেই এই সাব-সি ডাটা সেন্টারগুলোর মাধ্যমে অনেক সংখ্যক মানুষকে সেবা প্রদান করা সম্ভব এবং প্রয়োজনমত এই ডাটা সেন্টারগুলোর ক্যাপাসিটিও বৃদ্ধি করা যাবে। পাশাপাশি, এই সাব-সি ডাটা সেন্টারগুলো স্থাপন করতে সময় দরকার হয় মাত্র ৯০ দিনের, যার লাইফস্প্যান হবে প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময়।



পিএনএস/বাকীবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন