লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ শিশুর মাটি চাপা মরদেহ উদ্ধার

  22-01-2018 08:58PM

পিএনএস ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে ১১ বছর বয়সী মামুন নামের এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর মাটি চাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের নানার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী একটি নালা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে ২১ জানুয়ারি রাতে ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুটির মায়ের বর্তমান স্বামী তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। তবে পুলিশ হত্যার কারণ ও কারা হত্যা করেছে এ বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে না পারলেও ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় টুমচর গ্রামের নেওয়াজ উদ্দিন মাঝি বাড়ীর রহিমা আক্তার সুমি ও বরিশালের বাসিন্দা বর্তমানে চট্রগামের একটি ভবনের পাহারাদার আবু ছিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে জম্মগ্রহণ করেন শিশু মামুন। পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর সদরের চৌপল্লী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে সুমি ও ছিদ্দিকের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর নতুন করে মাসুদের সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়।

কিন্তু মাসুদের আরো এক স্ত্রী থাকার কারণে তারা কখনো সুমির বাড়ীতে আবার কখনো চট্রগামে থাকতেন। তবে সুমির আগের সংসারের ছেলে মামুনকে নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। দুই দিন পূর্বে চট্রগাম থেকে সদর উপজেলার টুমচর গ্রামে মামুনের নানার বাড়ীতে আসেন তারা। ২১ জানুয়ারি রাতে মামুন স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে আর বাড়ী ফিরেনি। তার খোঁজে গ্রামে মাইকিংও করা হয়।

২২ জানুয়ারি দুপুরে ঘটনাস্থলে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে স্বজনরা মামুনের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করেন।

খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আনোয়ারুল হক ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মামুনের মায়ের বর্তমান স্বামী মাসুদকে আটক করা হয়।

নিহতের মামা মো. রুহুল আমিন জানান, বোনের আগের সংসারের ছেলে মামুনকে নিয়ে বর্তমান স্বামী মাসুদ ও সুমির সংসারে কলহ বিবাদ চলে আসছে। এর জের ধরে মাসুদ মামুনকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আনোয়ারুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড। তবে কে বা কারা, কেন এই হত্যা করেছে তা জানাতে না পারলেও ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন