১৫ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো রমেশের লাশ

  13-02-2018 06:30PM

পিএনএস ডেস্ক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত সাঁওতাল বৃদ্ধ রমেশ টুডুর লাশ আজ মঙ্গলবার কবর থেকে তোলা হলো। রমেশ টুডু পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন—সাঁওতালদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তবিহীন লাশটি তোলা হলো। আদালতের নির্দেশে এখন এ লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিনটাজুড়ি গ্রামের নিহত রমেশ টুডুর মরদেহ আজ দুপুরে কবর থেকে তোলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।

পিবিআইয়ের গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্যামল হেমব্রম ও দিনাজপুরের মঙ্গল মার্ডি মারা যান। পরে সাঁওতালদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়ওঠে, রমেশ টুডু ওই হামলায় মারা যান।

আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, সে সময় শ্যামল ও মঙ্গলের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু তখন রমেশ টুডুর ময়নাতদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে আদালতে আবেদন করা হলে আদালতের নির্দেশে রমেশ টুডুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস ৭ দিন পর গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাফিউল আলম, চিকিৎসক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে রমেশ টুডুর মরদেহের হাড়গোড়, মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ তোলা হয়।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। সাঁওতালদের পক্ষে স্বপন মুরমু বাদী হয়ে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর থোমাস হেমব্রম বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আরেকটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে গাইবান্ধা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, এ পর্যন্ত সাঁওতালদের মামলায় ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। পিবিআই সাঁওতালদের লুট হওয়া কিছু ঢেউটিন ও মালামাল উদ্ধার করে। তদন্তে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন