বগুড়ায় বোরো চাষে কৃষি বিভাগের দিকনির্দেশনা

  22-02-2018 06:06PM

পিএনএস, বগুড়া প্রতিনিধি : কৃষি তথ্য, কৃষি সমস্যা সমাধান, উঠান বৈঠক, মাঠ দিবস, কৃষক সমাবেশ, কৃষি বায়োস্কোপ প্রদর্শণ প্রভৃতি সম্প্রসারণ মূলক নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে কৃষকের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি বিভাগ। চলমান মৌসুমে বোরো চাষে সুষ্ঠু পরিচর্যা ও বালাই দমনে লোগোবো পদ্ধতি ব্যানারের মাধ্যমে কৃষকদের দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

এবার উপজেলা কৃষি বিভাগের ২০হাজার ৪৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ইতিমেধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। বোরো ধানের চাষ এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা মুশিদুল হক।

জমিতে সেচ দেয়া, জমিতে চাষ দেয়া, বীজতলা থেকে চারা তোলাসহ বোরো ধান চাষের নানা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করে বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে তারা বিগত সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান। কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক কৃষক অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন মন্তব্য করেছেন কৃষকেরা। বোরো চাষে কৃষি বিভাগের ব্যাপক দিকনির্দেশনা কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।

উপজেলার ভাটগ্রাম ও কাথম মাঠে দিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদি, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার নুরুল ইসলামসহ কৃষি কর্মকর্তারা বোরো ধানের চাষকৃত জমিতে দিকনির্দেশনামূলক অস্থায়ী ব্যানারের মাধ্যমে প্রযুক্তি তুেিল ধরছেন। সারিতে ধান রোপন, পরিবেশ সম্মত বালাই ব্যবস্থাপনায় পারচিং, ইউরিয়া সাশ্রয়ে এলসিসি ব্যবহার, ফলন বৃদ্ধি ও খরচ সাশ্রয়ে ডিএপি সারের ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, ২টি চারা ব্যবহৃত প্লট, সুষ্ঠু পরিচর্যা ও বালাই দমনে লোগোবো পদ্ধতি, পানি সাশ্রয়ে প্রযুক্তি, অধিক ফলনে কম বয়সের চারা রোপনসহ কৃষকদের বিভিন্ন দিকনির্দেনা দেয়ায় বোরো চাষ বাড়ছে।

চাষি আকবর আলী, জুলফিকার রহমান ও আব্দুল জলিল জানান, গত ২ বছর যাবত ধানের মূল্য না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই গতবছরের চেয়ে এবার বেশী জমিতে শাক-সবজি, আলু, শরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। গত বছর রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ও আবহাওয়ার কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় তাদের চড়া দামে চারা কিনতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে চারা থেকে শুরু করে ডিজেল ও সারের সঙ্কট না থাকায় বিভিন্ন মাঠে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ অনেকে ইতোমধ্যেই শেষ করে ফেলেছেন, আবার কেউ কেউ শুরু করছেন। কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর অনেক কৃষক তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেও চারা বিক্রয় করতে দেখা গেছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা মুশিদুল হক বলেন, পরিবেশ সম্মত উপায়ে বোরো চাষে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। দীর্ঘস্থায়ী উৎপাদন বাড়বে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন