সাপ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসকে তলব

  23-03-2018 07:20PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজশাহীতে চড়ুই পাখি উদ্ধারের পর এবার গোখরো সাপ উদ্ধারে তলব করা হলো ফায়ার সার্ভিসকে। তবে তাঁরা সাপটি উদ্ধার করতে না পেরে সাপের খামারির শরণাপন্ন হন। খামারি এসে সাপটি উদ্ধার করেন। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকার সরজিত বাগচির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরজিত বাগচি বলেন, ‘সকাল ছয়টার দিকে আমার মেয়ে অতসী (১২) তার শোয়ার ঘরের ছাদের নিচে থাকা কাঠের তীরের ওপর বড়সড় একটা সাপ দেখতে পায়। আতঙ্কে “সাপ সাপ” বলে চিৎকার শুরু করে। ঘুমঘুম চোখে পরিবারের সবাই ছুটে যাই তার ঘরে। ঘরের তীরে সাপ দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাই। বিপদ থেকে বাঁচতে ফোন করি ফায়ার সার্ভিসে।’

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ভোর ছয়টার কিছু পরেই আমরা সরজিতের ফোন পাই। এরপর একটি ইউনিট নিয়ে তাঁর বাড়িতে যাই। কিন্তু সাপটি যেখানে বসে ছিল সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছিল। কিন্তু লোকজন সাপটিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা শুরু করেন। তখন আমরা পবা উপজেলার সাপের খামারি বোরহান বিশ্বাসকে ডাকি। তিনি এসে সাড়ে সাতটার দিকে সাপটিকে ধরেন। বোরহান না আসা পর্যন্ত আমরা বাড়ির লোকজনকে শান্ত রাখি।’

বোরহান বিশ্বাস বলেন, গোখরো সাপটির বয়স আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় বছর। অত্যন্ত বিষধর। সাপটি পুরোপুরি সুস্থ আছে। সাপটিকে তাঁর বাড়িতে ‘সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সাপ প্রকৃতি ও পরিবেশের একটা অংশ। কিন্তু অবলা এই প্রাণীটিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। এমনটি চলতে থাকলে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই বাড়িতে সাপ গেলে সেটিকে না মেরে আমরা যারা ধরতে পারি, তাদের খবর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

গত বছরের জুলাইয়ে রাজশাহী নগর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বসতবাড়িতে একের পর এক গোখরো সাপের আস্তানা বেরিয়ে আসতে থাকে। ১৮ দিনে নির্বিচারে মেরে ফেলা হয় প্রায় ৪০০ গোখরো সাপ ও তার বাচ্চা। ধ্বংস করা হয় অনেক ডিমও। এসব ঘটনা সারা দেশে আলোচিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল হারিয়ে ডিম ফোটাতে মানুষের ঘরমুখী হচ্ছে সাপ।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন