দুই বাল্যবিবাহের ঘটনায় কাজীসহ ৯জন জেলহাজতে

  23-03-2018 09:35PM

পিএনএস, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহী তানোর উপজেলায় দুই বাল্যবিবাহের ঘটনায় বরের পিতা, কনের মাতা ও কাজীসহ ৯ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তানোর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক মৃধা ও এসআই আবুল খায়ের পিন্টু নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ দেয়ার প্রমাণ পান।

এসময় বর ও কনেসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেলে ৯জনকে আটক করে থানায় আনা হয়। আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে আটকদের মধ্যে ৫জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর ৪জনকে আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে বলে বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম।

থানা পুলিশ ও এজেহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চকপ্রভুরাম গ্রামের মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে আসাদুজ্জামান (২৩) এর সঙ্গে তানোর পৌর এলকার জনৈক ব্যক্তির নবম শ্রেণি ছাত্রী(১৬) সঙ্গে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এ সময় বর আসাদুজ্জামান পালিয়ে গেলে তার মা জাবেদা বেগম (৪৫), কনের মাতা মনোয়ারা বিবি (৩১), কাজীর সহকারী আশরাফুল ইসলাম (৩৬) ও কাজীর সহকারী জাহাঙ্গীর আলম (২১) আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির দুইটি নথি (খাতা) জব্দ করা হয়।

অপরদিকে আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিয়ে কনের বাড়ি উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির নবম শ্রেণি (১৪) ছাত্রীর সঙ্গে তানোর পৌর এলাকার গোকুল গ্রামে আজিজের পুত্র আতিক (২৫) বিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় বর আতিক পালিয়ে গেলে তার ভাই রাঙ্গা মিয়া (২২), কনের পিতা নাজমুল হক (৩৫), কনের দাদা নূর আলম (৫৫) ও কনের চাচা শামীম মন্ডল(২০) আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: শওকাত আলী জানান, দু’টি বাল্যবিবাহ গোপন সংবাদে তাকে অবহিত করা হয়। পরে তানোর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন। বাল্যবিবাহ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ হয়ে গেলও বাল্যবিবাহের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মামলা করা হবে।

তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, পৃথক দুইটি বাল্যবিবাহের ঘটনায় ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৭(১)৯/৮ ধারায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন