ঈদের আনন্দ নেই; মেধাবী ছাত্রী আমরিন বাঁচতে চায়

  13-06-2018 08:18PM

পিএনএস, খন্দকার শাহিন : ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারী কলেজের মেধাবী ছাত্রী আমরিন আক্তার (২৪)। পড়ছেন রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে। জন্মস্থান সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায় হলেও বর্তমানে অবস্থান করছেন নরসিংদীর মাধবদীতে তার চাচার বাসায়। যে বয়সে পড়ালেখা শেষ করে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখার কথা সে বয়সে নিশ্চিত মৃত্যুর দু:স্বপ্ন প্রতিনিয়ত তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। আমরিনের দুটি কিডনিই অকেজো। ২০১৪ ইং সনে অনার্সে পড়াকালে তার কিডনী ড্যামেজের বিষয়টি ধরা পড়ে। আদরের মেয়েকে বাঁচাতে ৬ বিঘা ফসলি জমি বিক্রি করে চিকিৎসায় ব্যয় করেন তার বয়স্ক ও বেকার পিতা জজ মিয়া।

গত ৪ বছরে আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে তার চিকিৎসায় খরচ করা হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে সপ্তাহে ২/৩ বার তার ডায়ালাইসিস করাতে হয়, না হলে শরীরে পানি জমে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। ডায়ালাইসিসে মাসে ব্যয় হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এই বিশাল অঙ্কের ব্যয়ভার বহন করে অর্থাভাবে তার পরিবার এখন দিশেহারা। তদুপরি তার চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন তার দ্রুত কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট জরুরী। না হলে তাকে বাঁচানো যাবেনা। এ অবস্থায় আমরিনের পরিবার চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। আর ২/৩ দিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এসময় দেশের সবাই নিজ নিজ পছন্দের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকলেও ঈদের আনন্দ নেই আমরিনের পরিবারে, বাঁচার জন্য সাহায্যের আবেদন চাইলেন বিত্তবান দয়ালুদের কাছে।

সরেজমিনে মাধবদীর ছোট গদাইরচর মহল্লায় আমরিনের চাচা জামাল উদ্দিনের বাসায় এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আমরিনের। তার চাচা জামাল উদ্দিন মাধবদী স্কুল সুপার মার্কেটের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। চিকিৎসার জন্য তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ চাচার বাসাতেই অবস্থান করছেন।

তিনি খোলা কাগজকে জানান, পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন থাকলেও কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে অর্থাভাবে ক্রমেই তার স্বপ্নতো দূরের কথা, বাঁচার আশাই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

তিনি আরো জানান, পরিবারে ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে আমরিন সবার ছোট। বড় ভাই প্রবাসে থাকেন আর ছোট ভাই কাজ করেন নরসিংদীর একটি ফ্যাক্টরীতে। দুই ভাইয়ের উপার্জনের সব টাকাই ব্যয় হয়ে যায় তার চিকিৎসার পেছনে। বোনের চিকিৎসা ব্যয়ের কথা ভেবে বিয়েও করেননি ২ ভাই।

এছাড়া তার বড় বোনের স্বামীও তাদের উপার্জনের একটা বড় অংশ ব্যয় করেছেন তার চিকিৎসায়। তবুও সারানো যায়নি তাকে। এখন কিডনী ট্রান্সপ্লান্টই শেষ ভরসা। এ জন্য প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা, যা তার পরিবারের সাধ্যের বাইরে। তাই বাঁচার তাগিদে ঈদকে সামনে রেখে নিরুপায় হয়ে দেশবাসী সহ প্রবাসীদের প্রতি তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন- “ঈদের কেনাকাটা নয়, আমার জীবন বাঁচাতে আপনারা আমায় সহায়তা করুন। ৪/৫ লাখ টাকা হয়তো আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় কিছু; কিন্তু ১৮ কোটি জনগনের দেশে এই টাকা কিছুইনা।

আপনার সামান্যতম সহায়তায় হয়তো আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দান করতে পারেন। আমি বাঁচতে চাই। আমি সুস্থ হয়ে আবারও পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আমার নি:স্ব পরিবার ও আমার মতো অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার ক্ষুদ্র স্বপ্ন পূরণে আপনারা আমায় সহায়তা করুন।”

আমরিনকে সাহায্য পাঠানোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: নাম- আমরিন আক্তার, হিসাব নম্বর: ১২৪২৩/০, জনতা ব্যাংক, মাধবপুর শাখা। বিকাশ নম্বর : আমরিন-০১৭০৩৪৭৮১৭০(পারসোনাল) অথবা যোগাযোগ করতে পারেন- মো: জামাল উদ্দিন (আমরিনের চাচা) ঢাকা ইলেক্ট্রনিক্স, স্কুল সুপার মার্কেট মেইন গলি,মাধবদী, নরসিংদী। মোবাইল- ০১৭১২ ১১৪৬০৩

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন