এবার ঈদের কেনাকাটায় মুদি দোকানে ভীড়

  14-06-2018 08:00PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে কেনাকাটায় ব্যবস্তা বাড়ছে। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, স্যান্ডেল ও কসমেটিক্স শেষে এবার ভীড় বাড়ছে মুদি দোকানে। গৃহিণী ও বাড়ির কর্তারা ঈদের খাবার সেমাই, চিনি, বিরিয়ানির চাল, মশলাসহ বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

সেমাই ঈদের খাবারের অন্যতম অনুষঙ্গ। সেমাই ছাড়া ঈদ ভাবাই যায় না। ঈদের শুভেচ্ছা, অতিথি আপ্যায়ণে ধনী-গরীব সবার ঘরে সেমাই-ফিরনি চাই। ঈদের নামাজ শেষে বাড়িতে বাড়িতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় আর অতিথি আপ্যায়ণে প্রধান খাবারই সেমাই। তাই সেমাই, চিনি, কিচমিচ, পোলাওয়ের চাল কিনতে মুদি দোকানে ভীড় লেগেছে। দ্রব্য মূল্য কিছুটা স্থিতি থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন। বাজারে লুচ লাচ্ছা সেমাই কেজি ৭০ টাকা ও সাদা সেমাই ৩৬ টাকা। বিভিন্ন প্যাকেটের ২শ’ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি পোলাওয়ার চাল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, চিনি ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের জন্য সেমাই চিনি কিনতে আসা রাবেয়া বেগম দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক থাকায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা সদর ও উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজারের কয়েক জন মুদি মালিক জানান, ঈদের সময় এগিয়ে আসায় সেমাই, চিনি পোলাওয়ার চাল বিক্রি বেড়েছে। মুদি দোকানে ক্রেতাদের ভীড় ঈদের আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত থাকবে। ক্রেতা আ. সবুর আল-আমিন ও মোফিজুল রহমান জানান এ বছর ঈদ উপলক্ষে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় আমরা স্বাচ্ছেন্দের সহিত ঈদের কেনাকাটা করতে পারায় খুশি।

এদিকে ঈদের মুখোমুখি এসে বৃহস্পতিবার পাইকগাছা পৌরসদর ও বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজারের সকল বস্ত্রালয়, গার্মেন্টস সহ বিপনী বিতানগুলোতেও ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করাগেছে। তবে বিক্রেতারা জানান, রোজার প্রথম দিকে বিক্রি কম হলেও মাঝামাঝি সময় থেকে বেচাকেনা বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। ঈদের কেনাকাটায় কোনো অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের সদস্যদের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনীবিতান গুলোতে উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

বিক্রেতারা জানান, ঈদের উপলক্ষে বাহুবিল গ্রাউন ফ্রগ, ভারতীয় সিল্ক, লাছা, ওরগান্ডি, সাহারা, অহনা, জবা, জুটকাতান, গুজরাট থ্রি-পিচ, শাড়ী ও লেহেঙ্গা পোশাক বেশি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বাহারী ডিজাইনের পাঞ্জাবী, ট্রাওজার, জিন্সপ্যান্ট, কোটিপাঞ্জাবী, ফ্লোরটাচ, আস্কার পোশাক ক্রেতাদের বেশি পছন্দ ছিলো। তবে দেশি প্রশাকের চাহিদাও ছিলো বেশ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন