নবীনগরে তথ্যমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন

  17-07-2018 03:31PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোঃ রাকিবুর রহমান রকিব : ব্রাহ্মণবড়িয়ার জেলা নবীনগর উপজেলায় তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর জনসভা ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। একই দিন একই স্থানে হেফাজতে ইসলাম পাল্টা সম্মেলন ডাকার পর এবার জাসদের জনসভা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।

গত সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দলের একটি বিশেষ সভায় তিনি নিজের কর্মী বাহিনীকে আগামী ২৬ জুলাই নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য জাসদের জনসভা প্রতিহত করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগ ব্যতীত মহাজোটের শরীক দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হলে ‘রক্তের বন্যা’ বইয়ে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন বাদল। তবে সভায় বাদলের দেয়া এমন ঘোষণায় উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৬ জুলাই নবীনগর উপজেলা সফর করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এদিন বিকেলে নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাসদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন মন্ত্রী। ইতোমধ্যে মন্ত্রীর সরকারি সফরসূচিও পাঠানো হয়েছে। তবে একই দিনে একই স্থানে শানে রেসালত (সা.) সম্মেলন ডেকেছে উপজেলা হেফাজতে ইসলাম। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে।মন্ত্রীর অনুষ্ঠানের কথা জানলেও হেফাজতের সম্মেলনের কথা জানে না নবীনগর থানা পুলিশ। সম্মেলন করার জন্য কোনো ধরনের অনুমতিও নেয়নি সংগঠনটি। এ অবস্থায় সংসদ সদস্য বাদল দলের বিশেষ সভা ডেকে নবীনগরে তথ্যমন্ত্রীর আগমন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, সংসদ সদস্য বাদল সভায় দেয়া বক্তব্যে ‘মন্ত্রী ইনুর জনসভা হতে দেয়া হবে না’ জানিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যে কোনো উপায়ে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।বাদল জাসদ বা জাতীয় পার্টিকে (জাপা) এ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে বলেছেন, ‘মহাজোটের কাউকে প্রার্থী করলে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেয়া হবে। নিজেকেই তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করেন।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শাহ্ জিকরুল আহমেদ খোকনকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ওই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত বিএনপি নেতা কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন খোকন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মহাজোট থেকে খোকনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে স্বতস্ত্র প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলের জন্য তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। খোকন ছাড়াও আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ করছেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাজী মো. মামুনুর রশীদ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন