ভুল অপারেশনে বগুড়ায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু

  19-07-2018 12:00PM


পিএনএস, বগুড়া: বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় স্কুল পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। তার নাম সাকিব হাসান (১৫)। এ ঘটনার পর থেকেই ওই ক্লিনিকের মালিক ও কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শহরের শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ি সংলগ্ন ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা হয়।

মৃত সাকিব হাসান শহরের ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আব্দুল আজিজ লিটনের ছেলে এবং শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমক) পাঠায়।

তবে নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ লিটন জানান, তার ছেলে সাকিব হাসান পেটের পীড়ায় ভুছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। পরে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে বুধবার বিকেলে ছেলেকে ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করান। রাত ৮টার দিকে তাকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।

ডা. এ কে পাল তার অপারেশন করান। অপারেশন থিয়েটার থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সাকিবকে বের করা হয়। তখন তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শহরের কানছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে যান তিনি। সেখানে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ নিয়ে নিহতের স্বজনরা ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফেরেন।

নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ লিটন ও মা পান্না আকতারের অভিযোগ চিকিৎসকের ভুলের কারণে তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা ছেলে হত্যার বিচার চান। এ ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক জন মন্ডল ও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মোবাইল ফোন ও ফেসবুকের মাধ্যমেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ কে পালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন