এই জোড়া ছাগল মাত্র দেড় লাখ টাকা!

  20-08-2018 12:18PM

পিএনএস, বগুড়া : বগুড়ার শিবগঞ্জের এক জোড়া ছাগলের দাম চাওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ছাগল দুটি লালন-পালন করে বড় করে তোলা হয়। বর্তমানে সৌখিন ছাগল দুটো দেখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে সাদুল্লাপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাড়িতে। এরই মধ্যে এক ক্রেতা ছাগল দুটির দাম করেছেন ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি বিক্রি করতে রাজি হননি। এর আগে গত বছর তিনি কোরবানি ঈদের আগে ৫৮ হাজার টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করেছেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। পেশায় তিনি পল্লী প্রাণী চিকিৎসক। আগে থেকেই তাঁর শখ পশু পাখি পালন করার। তিনি কবুতর ময়না কাকাতুয়া পালন করেছেন।

তিন বছর আগে মুলত শখের বসেই তিনি ছাগল পালন শুরু করেন। বাজার থেকে ছোট মাপের ছাগল কিনে এনে তা অতি যত্নে লালন-পালন শুরু করেন। বছর শেষে বড় করে কোরবানি ঈদের আগে তা বিক্রি করেন। এতে তার বেশ মুনাফা হয়। বর্তমানে এই শখ তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, আট মাস আগে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে নাটোরের একটি হাট থেকে মাঝারি ধরনের হরিয়ানা জাতের দুটি ছাগল কেনেন। এরপর দেশীয় পদ্ধতিতে ভুষি, পাতা খাইয়ে তা লালন পালন করে বড় করে তোলেন। তাদের নাম রাখেন মিঠু।

তিনি বলেন, নিজের সন্তান স্নেহে তাদের বড় করে তুলেছি। দুটি ছাগলই আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। ওরা অন্য কারো হাতের খাবার খেতে চায় না। মিঠু নামে ডাকলে তারা যেখানেই থাক না কেনো ছুটে চলে আসে আমার কাছে। আট মাস ধরে লালন পালন করতে গিয়ে মায়া বসে গেছে। বিক্রির সময় খুব কষ্ট হয়।

মঞ্জু আরও জানান, প্রতি ঈদেই ছাগল বিক্রি করি। ২০১৬ সালে প্রথম তিনি ১০০ কেজি ওজনের একটি ছাগল পালন করে তা বিক্রি করেন ৫০ হাজার টাকায়। পরের বছর ২০১৭ সালে ৭৩ কেজি ওজনের ছাগল বিক্রি করেন ৫৮ হাজার টাকায়। এবার একটি নয় একসঙ্গে দুটি ছাগল পালন করেছেন।

তিনি বলেন, এবার প্রতিটি ছাগলের ওজন ৮০ কেজি ছাড়িয়ে যাবে। দাম চেয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা। এরই মধ্যে জয়পুরহাটের এক ক্রেতা দুটি ছাগলের দাম করেছেন ৮৫ হাজার টাকা। তাতে রাজি হইনি। ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলতে হয় না। বাড়ি এসেই ক্রেতারা নিয়ে যান। সৌখিন মানুষ ছাড়া তার ছাগল কেউ কিনতে পারবে না।

শিবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেন সাবু বলেন, মঞ্জু বেশ আগে থেকেই সৌখিন ছাগল পালন করে আসছেন। তার ছাগল দেখতে প্রতিদিন মানুষ আসছেন। তিনি একজন সৌখিন ছাগলপালনকারী হিসেবেই আমরা চিনি।

শিবগঞ্জ প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেননারি সার্জন আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরাও শুনেছি তিনি দুটি সৌখিন ছাগল পালন করছেন। সম্পন্ন দেশীয় পদ্ধতিতে তিনি তা বড় করে তুলেছেন। দাম সর্ম্পকে বলেন, এখন বিভিন্ন জাতের ছাগল পাওয়া যায় যার দাম খুব চড়া। সেই হিসেব দেড় লাখ টাকা চাওয়া অমুলক কিছু নয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন