কাপাসিয়ায় বিজিএফ'র চাল বিতরণে অনিয়ম

  20-08-2018 08:55PM

পিএনএস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরীবদের জন্য ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দকৃত বিজিএফ এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, মাপে কম এবং কালো বাজারে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বারিষাব ও রায়েদ ইউনিয়নের দুই জায়গা থেকে সোমবার দুপুরে ও গত রবিবার সন্ধায় ২৫ বস্তা চাল মেম্বার ও চকিদার কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকছুদুল ইসলাম গিয়াসপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে রাশিদ ও আনোয়ারের মুদি দোকান থেকে এসব চাল উদ্ধার করেছে। দোকানী রাশিদ (৭৫) কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দু’টি দোকানই সিলগালা করে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রায়েদ ইউনিয়নের শাহজাহান মেম্বারের বাড়ি থেকে ৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।

জানাযায়, উপজেলার ৪ নং বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মমতাজ উদ্দিন ও শাহজাহান চকিদার গত রোববার বিকেলে চাল গুলো পাশর্^বর্তী ওই দোকানে বিক্রয় করেন। এর আগে দিনের বেলা জন প্রতি ২০ কেজি চালের পরিবর্তে ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল।
আটককৃত মুদি দোকানদার রাশিদ জানান, বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের মমতাজ মেম্বার ও চকিদার শাহজাহান তার কাছে ৯ বস্তা চাল বিক্রি করে। ৩০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চালের জন্য তাকে ১৩’শ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু জানান, তার ইউনিয়নের ২ হাজার ৪ শত ৪৫ জন লোকের জন্য ৪৮.৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বাররা তাদের দায়িত্বে বিজিএফ এর চাল বিতরণ করেছে। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তিনি তার অফিসে উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ কাজ তদারকি করেছেন বলে জানান। তবে কিছু চাল বিতরণের বাকি ছিল, তা সোমবার বিতরণের কথা ছিল। পরে কি হয়েছে তিনি তা জানেন না।

এ ব্যাপারে প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ বাকি বিল্লাহ্ জানান, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে চাল বিতরণের কার্যক্রম তদারকির জন্য আলাদা টেক অফিসার রয়েছে। বারিষাব ইউনিয়নে চাল বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট টেক অফিসার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান দায়িত্বে ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাকছুদুল ইসলাম জানান, বারিষাব ইউনিয়নে বিজিএফ এর ৪৮.৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনপ্রতি ২০ কেজি করে বিতরণ করার কথা থাকলেও পরিমানে কম বিতরণ করে মমতাজ মেম্বার ও শাহজাহান চকিদার তা বিক্রয় করে দেয়। খবর পেয়ে গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চাল ক্রেতা মুদি দোকানী রাশিদ কে আটক করা হয়েছে এবং দু’টি দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রায়েদ ইউনিয়নের শাহজাহান মেম্বারের তার বাড়ি থেকে ৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শাহজাহান মেম্বার বাড়িতে ছিল না। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, বারিষাব ইউনিয়নের চাল কালো বাজারে বিক্রয়ের ঘটনায় টেক অফিসার আতিকুর রহমান বাদী হয়ে মমতাজ মেম্বার, শাহজাহান চকিদার, মুদি দোকানদার রাশিদ ও আনোয়ারকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন