চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গোলাগুলি; গুলিবিদ্ধ ১, আটক ৭

  16-10-2018 02:57AM


পিএনএস ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলার আনোয়ারায় ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে শওকত নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর পুলিশ সাতজনকে আটক সেইসাথে আগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার তৈলারদ্বীপে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম. চৌধুরী আলমগীর’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।


জেলার আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবর মিলকি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম. চৌধুরী আলমগীর’র বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাই। এরআগেই সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ১টি দেশীয় রাইফেল (এলজি)ও ৯টি কিরচি উদ্ধার করা হয়েছে।


মো. মাহবুবর মিলকি আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে। যাচাই-বাচাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরপূর্বে গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আলমগীর চৌধুরীর ছোট ভাই এস.এম জয়নাল উদ্দিন চৌধুরী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে দশটার পর শতাধিক লোক আগ্নেয়াস্ত্র ধারালো দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা করে। সেসময় তারা প্রথমেই কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এরপর ঘরে ঢুকে টাকা ও জিনিসপত্র লুটপাট করে তারা।


এস.এম জয়নাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম মহানগর মুরাদপুর এলাকায় তার বড়ভাই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর চৌধুরীর উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনার পর পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠায।

পরে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সরকারদলীয় স্থানীয় আজিজ মেম্বার ও সন্ত্রাসী জসিমের নাম বলে। সেই মামলার সূত্র ধরেই তারা হামরা করেছে বলে জানান জয়নাল উদ্দিন চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী’র বাসায় যান চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর চৌধুরী। সেখান থেকে রাতে বাসায় ফেরার পথে ১০-১২ জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। পরে এ ঘটনায় তিনি মামলা করলে পুলিশ বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। তবে সন্ত্রাসীরা ওই হামলার পিছনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুজনের ইন্দনের কথা তুলে ধরেন আদালতে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন