লামায় বাস দুর্ঘটনায় আহত ২৭

পিএনএস ডেস্ক : বান্দরবানের লামায় যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা পাহাড়ের নয় মাইল নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ৫২ সিটের বাসটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিল। বাসটির লাইসেন্স নং- চট্টমেট্রো চ-২০৮।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার নয়ন দেব চাকমা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত ১৫ জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় চকরিয়া ও মালুমঘাট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া আহত আরও ১২ জনকে পিকআপে করে লামা হাসপাতালে নেয়া হয়।

লামা হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, আলীকদমের নয়াপাড়া ইউনিয়নের মনচ পাড়ার কাওসারা বেগম (৩২), তার মেয়ে মাছুমা জান্নাত (৮), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার সাধন বড়ুয়া (৫০), মিনু বড়ুয়া (৫০), বমুবিলছড়ি পূর্বপাড়া জুবাইদা ইয়াছমিন (৩৫), হাবিবুর রহমান (৭), লামা বেড়াতে আসা ফেনী জেলার নুরনাহার বেগম (৫৫), লাবনী আক্তার (২৬), লামা পৌরসভার টিএন্ডটি পাড়ার সামিয়া আক্তার (৯ মাস), চকরিয়ার শওকত আরা (৩৫), চকরিয়া মানিকপুর এলাকার কবির আহমদ (৫৭) ও মো. আব্দুর রাজ্জাক (২২)। চকরিয়া ও মালুমঘাট হাসপাতালে নেয়া ১৫ জনের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাসের যাত্রী আহত কবির আহমদ জানান, বাসটি যাত্রী বোঝাই করে চকরিয়া হতে লামা উপজেলায় আসছিল।

যাত্রা পথে মিরিঞ্জা পাহাড়ের নয় মাইল নামক স্থানে পৌঁছালে গাড়ির সামনের চাকা পাংচার হয়ে যায়। এসময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ড্রাইভার দ্রুত রাস্তার পাশের বড় রেইনট্রি গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির সামনের আসনে বসা যাত্রীরা বেশ আঘাত প্রায়। পরে গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স করে গুরুতর আহতদের চকরিয়া ও মালুমঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়। সামান্য আহতদের লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস।

লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. জিয়াউল হায়দার বলেন, আহত ১২ জনের মধ্যে কাওসারা বেগমের বাম হাতটি ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্য সাত জন ভর্তি ও চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থল ও লামা হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পিএনএস/জে এ