রামপালে পোষ্ট অফিসের কক্ষে অবৈধ কোচিং সেন্টার

  17-01-2019 06:22PM

পিএনএস, স্টাফ রিপোর্টার (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের রামপালে একটি শাখা পোষ্ট অফিসের কক্ষ ব্যবহার করে পোষ্ট মাষ্টারের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার খুলে ক্লাস করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী খুলনা ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল বরাবর গণস্বাক্ষর যুক্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে ওই শাখা পোষ্ট অফিসে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পিপুলবুনিয়া গ্রামের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শাখা পোষ্ট অফিস হিসাবে কার্যক্রম চলে আসছে। ওই পোষ্ট অফিসের শাখা পোষ্ট মাষ্টার সূর্যকান্ত হালদার যোগদানের পর থেকেই দূর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ওই সরকারি দপ্তর ব্যবহার করে তার অফিস কক্ষে কোচিং সেন্টার খুলে সকাল, দুপুর, বিকাল কোচিং ক্লাস করান। ওই পোষ্ট অফিসে শুরুতে কম্পিউটার প্রশিক্ষনে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী থাকলেও বর্তমানে সেটা কমে গেছে। ওই এলাকা ঘন বসতিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী এসবি এ্যাকাউন্ট, পিএলআই এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এক পর্যায়ে টাকা জমার গনমিল দেখে অনেকেই টাকা তুলে নিয়ে নেন। এছাড়া তিনি ওই এলাকায় জনৈক এক মহিলার সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দেয়। সাংবাদিকরা সরজমিনে গিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে কোচিং ক্লাস করানো অবস্থায় দেখতে পান। পোষ্ট অফিসের জমিদাতা সাবেক ইউপি সদস্য মিনতী রানী মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, জনগনের স্বার্থে ওই জমি দিয়ে এখন পাপের ভাগিদার হয়েছি। ওই সূর্যকান্ত এলাকার পরিবেশ নষ্ঠ করে ফেলেছে যা আপনারা নিজে চোখে দেখেছেন। অভিযোগের বিষয় পোষ্ট মাষ্টার সূর্যকান্ত বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াই কিন্তু অফিসের পেছনে রাখা আপত্ত্বিকর জিনিসপত্রের বিষয় কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার অমল কৃষ্ণ পালের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি কক্ষ ব্যবহার করে কোচিং সেন্টার খুলে কোচিং করানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে খুলনার ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলী খানের ল্যান্ডফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের কপি আমি পাইনি, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য ও করতে পারছিনা তবে আগামী সপ্তাহে ওই শাখা অফিসে তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন