পরিবর্তনের হাল ধরেছে শিক্ষিত তরুণরা

  16-02-2019 04:10PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : নদী, ভূমি, বন, পশু-পাখি, জলাশয় ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত লতা ইউনিয়ন। সম্পদে ভরপুর তারপরও নিত্যসঙ্গী দারিদ্রতা, বেকারত্ব, লবণ পানি আগ্রাসন, ভঙ্গুর অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপ্রতুল, উন্নত চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত এখানকার মানুষ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইউনিয়নের ৭৮ ভাগ শিক্ষিত জনগণ ও তরুণ শিক্ষিত প্রজন্ম দেশে বিদেশি চাকরিজীবী সুনামের সহিত মেধার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রায় ৮৫ ভাগ হিন্দু ধর্মাবম্বলীদের বসবাস। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সামাজি, অর্থনৈতীক ও গ্রামীণ অবকাঠামো আধুনিক সুবিধা বঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষ। এমনই প্রেক্ষাপটে উন্নয়নের হাল ধরেছেন এলাকার শিক্ষিত তরুণ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ।

গত ২০ অক্টোবর ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস (৭১) মৃত্যু বরণ করায় আসনটি শুন্য হয়। সুবিধাবঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষ নিজেদের পরিবর্তনে হাল ধরেছে এলাকার শিক্ষিত তরুণ সমাজ। উপ-নির্বাচনে প্রার্থীও দিয়েছেন তাঁরা। প্রার্থীর পক্ষে মানুষের কাছে যাচ্ছেন, শুনচ্ছে তাদের শোষন ও বঞ্চনার কথা। শুনাচ্ছেন তাদের পরিকল্পনার কথা। তরুণ ভোটার নিউসান এর পরিচালক রায় সমীর কুমার জানান, আমরা যারা জীবিকার তাগিদে লতার বাইরে থেকেও লতার মানুষদের নিয়ে একটু বেশি ভাবি, তাদের কল্যাণ ও মুক্তির পথ খুঁজি। একটি আদর্শ লতা গড়ার স্বপ্ন দেখি, সবুজে ঘেরা প্রকৃতির লতা ইউনিয়ন দেখার ইচ্ছা বুকে লালন করি, দারিদ্রের তীব্রতা উপেক্ষা করে যারা এগিয়ে আসতে চায় তাদের হাত ধরে তোলার প্রচেষ্টা সর্বদা। আমাদের মনোনীত ও পরীক্ষিত যোগ্য নেতৃত্ব সনজিত সরকারকে লতার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের বিশ্বাস সনজিত সরকার কে ভোট দিয়ে লতার মানুষ একজন শিক্ষিত মেধাবী অভিজ্ঞ দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের সম্মিলিত উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানাবেন।

চাকুরীজীবি নিউটন কুমার রায় জানান, লতায় এই মুহুর্তে এমন একজন সৎ দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষিত যোগ্য বিনয়ী নেতৃত্ব চাই। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে লতার মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাবে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকায় জনগণের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। উচ্চ শিক্ষিত বহুমুখী সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সনজিত সরকার। একজন মানবিক ও দয়ালু মানুষ। মানুষের কল্যান বা উপকার করে যে সত্যিকারে সুখ অনুভব করবে।

তরুণ চাকুরীজীবি অঞ্জন মন্ডল জানান, লতায় শিক্ষার হার অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে অনেক বেশি আর এই শিক্ষিত মানুষের চালক ও একজন শিক্ষিত ও দক্ষ মানুষের হওয়া উচিৎ। সঞ্জিত একজন সংগ্রামী যোদ্ধা। যে ছোটবেলা থেকে দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হয় কি করে সেটা তিনি ভাল করেই জানেন। লতায় শিক্ষার হার বেশি হতে পারে কিন্তু অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। অতীতে অনেক চেয়ারম্যানকে তো আমরা দশ বছর-পনের বছর সময় দিয়েছি কিন্তু অবহেলীত মানুষগুলো শুধু অবহেলাই পেয়েছে। পরিবর্তন হয়নি তাদের ভাগ্যের চাকা।

লতা ইউপি উপ-নির্বাচনে ৩জন প্রার্থী প্রতীক নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। সুবিধাবঞ্চিত ও শিক্ষিত তরুণ সমাজের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সনজিত সরকার চশমা, সাবেক ইউপি সদস্য আওয়মী লীগ নেতা চিত্ত রঞ্জন মন্ডল আনারস ও প্রায়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী দেবীরানী বিশ্বাস নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে ইউনিয়নে ৯ হাজার ২শ ৬৩ জন ভোটার তাদের লতা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন