শরণখোলায় অনৈতিক কাজের অভিযোগে শিক্ষক প্রিন্সকে গণধোলাই !

  19-03-2019 12:30AM



পিএনএস ডেস্ক: বাগেরহাটের শরণখোলায় অনৈতিক কাজের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে গনধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মার্চ (সোমবার) দুপুরে উপজেলার রতিয়া, রাজাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ আহত স্কুল শিক্ষক ও এক কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসেন। ওই শিক্ষক উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার মোঃ সায়েদুর রহমানের ছেলে এবং আমড়াগাছিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে মাহফুজুর রহমান প্রিন্স (৪২) রতিয়া, রাজাপুর গ্রামের রাসেল খানের বাড়িতে এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে প্রবেশ করেন। এতে এলকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রিন্স কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর কয়েকজন নিকট আত্মীয় সহ এলাকার কতিপয় যুবক প্রিন্সকে আমড়াগাছিয়া এলকায় আটক করে গণধোলাই দেন। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একই দিন দুপুরে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তবে প্রিন্স দাবী করেন, ওই কলেজ ছাত্রী তার বিবাহিত স্ত্রী। কিছু টাকা নেওয়ার জন্য তার সাথে দেখা করতে রাসেল খানের বাড়িতে ওই এলাকায় গিয়েছিল। কিন্তু বিবাহের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।

অপরদিকে, এমন খবরে স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে অপসারণের দাবীতে একই দিন সন্ধ্যায় আমড়াগাছিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলকাবাসীর অনেকে।

এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের মুখে শুনেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রিন্সের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রিন্স ওই ছাত্রীকে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে, শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, উভয় পরিবারের অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে নিয়ে গেছেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন