ঢাকা-বেনাপোল রুটে চালু হচ্ছে এক্সপ্রেস রেল

  20-04-2019 04:41PM

পিএনএস ডেস্ক : ঈদের পরই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা-বেনাপোল রুটে এক্সপ্রেস রেল সার্ভিস। যাত্রী সেবার মান আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকা-বেনাপোল-ঢাকা রেল রুটে যাত্রী সেবার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সিট অনলাইনে যাত্রীরা সংগ্রহ করতে পারবেন। চলতি পথে যশোরে থাকছে যাত্রাবিরতি। ঈদের পর এ সেবা চালু হচ্ছে।

তিনি বলেন, রেল চালু হলে রেলের রাজস্ব যেমনটি বাড়বে, তেমনি মানুষ নিরাপদে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। বাড়বে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যও।

এমন খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, এ রুটে রেলপথে যাত্রী সেবা চালু করতে অনেক পরিশ্রমের পর স্বপ্ন সার্থক হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি পণ্য পরিবহনে কার্গো সার্ভিসও চালু হবে। এ সেবা চালু করতে যেমন পণ্যজট কমবে, তেমনি দ্রুত বাণিজ্য সম্পাদনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে রেলপথ ও স্থলপথে বাণিজ্য এবং পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত রয়েছে। এখন ঢাকা-বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিতে যেমন যাত্রী দুর্ভোগ লাঘব হবে, তেমনি বাণিজ্যও প্রসারিত হবে।

সড়ক পথে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী অনিতা দাস বলেন, দেশ ভাগ হলেও ভারতের সঙ্গে এখনো অনেকের আত্মীয়তার বন্ধন রয়ে গেছে। এ কারণে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে ও ভালো চিকিৎসা পেতে প্রায়শই অনেকের ভারতে যেতে হয়। ভারত থেকেও অনেক আত্মীয় আসে বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সড়ক পথে যাতায়াত অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন যাত্রীরা। দুর্ভোগ আর পাসপোর্ট দালালদের হয়রানিরও শিকার হতে হয়। এ পথে যাত্রীবাহী রেল চালু হচ্ছে। এতে যাত্রীরা অনেক উপকৃত হবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্বে আসছে ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তঃনগর ট্রেন, বেনাপোলে জংশন। এরপর বুলেট ট্রেন এবং ভারতের সঙ্গে রেল কার্গো সার্ভিস।

এ সেবা চালু করতে গত ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যৌথ ইশতেহার এবং উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত চুক্তির আওতায় (রেলপথ বিষয়ে) উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সভায় বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রেলের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল রুটে ভারতের সঙ্গে এর আগেও রেলের যাত্রীসেবা সার্ভিস চালু ছিল। তবে দেশ স্বাধীনের পরপরই তা বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে বছর দশেক আগে দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় আবারও সেটা চালু হয়। প্রথমে পণ্য পরিবহনে কার্গো সার্ভিস আর পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে বন্ধন রেলের যাত্রীসেবা চালু হয়। এবার ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হবে বেনাপোল জংশন।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন