পাইকগাছায় রাসেল বাহিনী বহালতবিয়তে

  20-04-2019 05:44PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় সাংবাদিক মিন্টুর উপর হামলাকারীদের প্রধান এমডি রাসেল আছে বহাল তবিয়াতে। তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? প্রতিনিয়ত মারামারি করেও আছে খোশ মেজাজে। তাকে শাসন করার মত কেউ নেই! রাসেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সাংবাদিক মিন্টুর উপর হামলা করেই খ্যান্ত দেয়নি। হামলার পর পরই ঘটনা উল্লেখ করে রাসেল তার ফেসবুক আইডিতে উদাত্তপূর্ণ স্টাটাস দিয়েছে। তার এমন উদাত্তপূর্ণ স্টাটাস দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সহ এলাকাবাসীর মধ্যে। জানাযায় তার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে কানেকশন এবং পরিবারের অতিত রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে পুশিল বাহিনীতে চাকরি হয়নি। বাহিনীর অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধেও এলাকায় রয়েছে ধারাবাহিক অপরাধ কর্মকান্ডে অভিযোগ। রাসেল বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতায়, মারপিট, হুমকি-ভয়ভীতি দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ বাহিনীর হাত থেকে রেহায় পায়নি সাধারন মানুষ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছাত্র লীগের নিহর নেতা কর্মীরাও।

উল্লেখ, পহেলা বৈশাখের রিপোর্ট সংগ্রহের কাজে গিয়ে ওই দিন সকাল ৯ টায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে মহানন্দ অধিকারী মিন্টুর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। কথিত ছাত্রলীগ নেতা কপিলমুনি ইউনিয়ন ইউপি সদস্য প্রতাপকাটী গ্রামের ইউনুস আলী মোড়লের ছেলে এমডি রাসেল (২৪) এর নের্তৃত্বে শোভন শেখ (২২), আমিরুল গাজী (২৩) শেখ আশিক (২২), আনিচ (২৪), আবু হাসান (১৮), সাজু বিশ্বাস (১৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সাংবাদিক মিন্টু পেশাদারী দায়িত্ব পালনের সময় ফিল্মি স্টাইলী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগী সাংবাদিক পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নম্বর ৬৩০।

কপিলমুনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইমরান খান বলেন, রাসেল ছাত্রলীগের কেউ না। সে নিজেকে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সভাপতি দাবী করায় আমি নিজে চরম ইমেজ সংকটে রয়েছি। তার কৃতকর্মের কোনো দ্বায়ভার নিবে না ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।

রাসেল ছাত্রলীগের কেউনা বলে দাবী করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মশিয়ার রহমান। তিনি বলেন রাসেল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। অথচ এমডি রাসেলের ফেসবুক আডিতে সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কপিলমুনি ইউনিয়ন শাখা পরিচয় দিয়েছে।

এমডি রাসেল জানান, সাংবাদিকের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় ঠেলাঠেলি হয়েছে কিন্তু মারামারি হয়নি। যদি তিনি নাই মারেন তাহলে কেনো তিনি ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে তিনি কোন মন্তব্য না করে ফোন রেখে দেন।

এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন