পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিষয় আড়াল করে 'ধর্ষণচেষ্টা'র মামলা রুজুর অভিযোগ

  23-04-2019 05:35PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের মাধ্যম খবর পেয়ে ধর্ষিতা ও তার বাবাকে ডেকে নিয়ে বক্তব্য শোনেন এবং ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিষয়টি আড়াল করে 'ধর্ষণচেষ্টা' মামলা রুজুর অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা ওই ছাত্রী এবং তার বাবা। এদিকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিয়ে এই ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি থানা পুলিশের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

অভিযুক্তের নাম সজিব গাজী। সে স্থানীয় চর মেমানিয়া নুরুল হক গাজীর ছেলে এবং স্থানীয় মেমানিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।

নির্যাতিতা ওই ছাত্রী মঙ্গলবার দুপুরে তার বাবাকে সাথে নিয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি ধর্ষিত হওয়ার পরও মামলায় ‘ধর্ষণের’ কথা না লিখে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ লেখার অভিযোগ করেন থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযুুক্তের পরিবার থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির (হিজলা গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহের আকন) বিরুদ্ধে।
সম্ভ্রম হারানো মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃচিন্তাগ্রস্ত বাবা এই ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে, ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি থানা পুলিশের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে একা বাসায় পেয়ে তাকে জোর পূর্বকধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে সজিব গাজী।

এর আগে সে ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতো বলেও অভিযোগ নির্যাতিতা ছাত্রীর।

ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশ মীমাংসার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করেও কোনো প্রতিকার না করায় গত ১৩ এপ্রিল থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা।

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা এবং তার বাবাকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নেন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে তাদের সাথে কথা বলেন এবং একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে ওই ছাত্রীর ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করেন। ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় নির্যাতিতার পরিবারকে ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন