কালীগঞ্জ থানার পুলিশকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সংবাদ সম্মেলন

  25-06-2019 10:27PM

পিএনএস, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৫ জুন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে আমাকে ও উপপরিদর্শককে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি এবং প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন রাতে জামালপুর ইউনিয়নের ছৈলাদি গ্রামে মোন্তাজউদ্দিন দর্জির ছেলে মাদক বিক্রেতা রাসেল মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামে আয়েজ আলীর ছেলে রিকশাচালক কাউছার (২৭)কে সাথে নিয়ে ইয়াবা আনতে যায়। খবর পেয়ে ছৈলাদি গ্রামের চৌকিদার বোরহান শেখ তাদের ৫০পিস ইয়াবাসহ আটক করে । পরে মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে তাকে ছেড়ে দেয়। পরেরদিন চুক্তি মোতাবেক বিকাশের মাধ্যমে চৌকিদারের নিকট টাকা পাঠায়। বিষয়টি জানতে পেরে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খান ফারুক মাষ্টার কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চৌকিদার বোরহানকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতা রাসেল ও মাদক বহনকারী রিকশাচালক কাউছারকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।পরের দিন ২২ জুন এস আই আব্দুর রহমান ৪৪ পিস ইয়াবা জব্দ কাউছারকে আসামী করে ২৩ নং মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামীকে ওসির র্নিদেশে কাপাসিয়া রোডে ছেড়ে দেয়া হয়। ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, ওই ঘটনাকে মিথ্যা ও ভুল তথ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনাটি হলো রিকশা চালক কাউছার আসল ইয়াবা বিক্রেতা। সে রিকশা চালায় আর মাদক বিক্রি করে থাকে। চৌকিদার বোরহান থানাকে অবগত করেনি। জামালপুরের সিদ্দিক চৌকিদার থানাকে অবগত করলে তাৎক্ষনিক থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এসআই আব্দুর রহমান ইয়াবাসহ কাউছার ও রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ৬ পিস ইয়াবা নষ্ট হওয়ায় ৪৪ পিস ইয়াবা দিয়ে কাউছারের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। রাসেলের কাছে কোনো ইয়াবা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩৪ ধারায় আটক দেখিয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়। পরে ওই দিনই রাসেল আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। পাশাপাশি প্রকাশিত সংবাদে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান থানাকে অবগত করেছে বলে প্রকাশ করে। কিন্তু চেয়ারম্যান কোনো তথ্য থানাকে জানায়নি। ”ওসি’র নির্দেশে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দিয়ে রিকশা চালকের নামে মাদকের মামলা দিল এসআই আব্দুর রহমান” শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবে এটা সবার প্রত্যাশা। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় পুলিশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যে সে বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন