নাসিরনগরে খুনির হাতে খুন: কোথায় থেকে আসলো এই ভয়ঙ্কর খুনি?

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলা আবারো দিনে দুপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনা ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক আশপাশের গ্রামে মানুষের আনাগোনা কম নাসিরনগরে হাটবাজারে মানুষ নেই এমন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ আশপাশের প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র ছাত্রী অনুপস্থিত অভিভাবকরা জানান আমাদের ছেলে মেয়ে আতঙ্কে স্কুলে যাচ্ছে না আমারও ঘর হতে বের হচ্ছি না হাট বাজারে মানুষ নেই মন্দিরে পূজারী নাই কেমন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ গৌর মন্দিরের ভিতর নাট মন্দিরে খুনির হাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার সময় নাসিরনগর বোনের বাড়ীতে বেড়াতে আসা কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচরের ঘোষপাড়া গ্রামের লিটন ঘোষ (৪৭) নামের এক ঘুমন্ত শ্রমিকের মাথা কেটে ব্যাগে ভরে রক্তাক্ত অবস্থায় ধারালো দা ও মাথা নিয়ে থানায় গিয়ে হাজির হন খুনি লবু দাস (৪৮)। এ সময় পুলিশ তাকে নিহতের মাথা ও ধারালো দা সহ আটক করে।

ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত লিটন ঘোষের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই স্বপন ঘোষ বাদী হয়ে খুনি লবু দাসকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওসি (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, খুনি লবু দাসকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কে সেই খুনি লবু দাস : নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার মৃত পরমানন্দ দাসের ছেলে সিরিয়াল কিলার লবু দাস (৪৮)। জানা গেছে সে পূর্বেও তার স্ত্রী ও সন্তানকে ভারতে খুন করে বাংলাদেশে চলে আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে এসে রাজু দাস নামে একজনকে লোহার পেরেক দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারী লবু দাস খুন করে তার চাচা ইউপি সদস্য মতিলাল দাসকে। ওই মামলায় জেল হাজত থেকে জামিনে এসে ২৫ জুন ২০১৯ খুন করে লিটন ঘোষকে।তার পূর্বে আরো ২জনকে হত্যার চেষ্ঠা চালায় বলে জানা গেছে। উপজেলাবাসী এই দুদর্ষ খুনি লবু দাসের প্রকাশ্যে ফাঁসি দাবী করছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল