বৃটিশ আমলের ৭ ব্রিজে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি

  26-06-2019 08:17PM

পিএনএস ডেস্ক : কুলাউড়ায় উপবন ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে রেল লাইনের নড়বড়ে অবস্থার চিত্র উঠে আসছে। এ সকল স্থানে একাধিকবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এর মাঝে ঢাকা-সিলেট রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জের ৭টি ব্রিজের অবস্থা একেবারেই নাজুক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃটিশ আমলে নির্মিত হয় শায়েস্তাগঞ্জের খোয়াই ব্রিজ, লস্করপুর ব্রিজ, কুতুবের চকে ২টি ব্রিজ, বড়চর ব্রিজ, সুতাং নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ ও চাইল্লা ব্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল হয়ে থাকা ব্রিজগুলোকে মেরামতে মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নিলেও কাজ হয় নামেমাত্র। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই ট্রেন চলাচল করছে।

আজ বুধবার দুপুরে পুরান বাজার ও খোয়াই ব্রিজ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরাতন স্লিপারগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে প্রায়। দুর্বল হয়ে গিয়ে এক জায়গার স্লিপার অন্য জায়গায় সড়ে গেছে। ব্রিজের পিলারগুলোতে দেখা দিয়েছে একাধিক ফাঁটল। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বাকী ৫টিও ব্রিজেরও একই অবস্থা। এ ছাড়াও ঢাকা-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন এলাকায় লাইনে ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে। দ্রুত এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না নিলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সুতাং এলাকার বাসিন্দা আব্দুম সালাম মজনু জানান, শুধু ব্রিজ নয়, পুরো লাইনের বিভিন্ন স্থানে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। ট্রেন চলাচলের সময় রীতিমতো কাপতে থাকে লাইন। এভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচলে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ জহুরচান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদশের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো সিলেটের হাতেই ছিল। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকেও সিলেট বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিশেষ করে প্রবাসী আয়েরা ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগ সবার আগে রয়েছে। এ ছাড়া গ্যাস, পর্যটন, চা পাতা, পাথর, মাছ, ভাত উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সিলেট বিভাগের রেললাইনের ব্যাপারে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কর্তৃপক্ষ সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনার দায় কি রেল কর্তৃপক্ষ নিবেন? হয়তো কিছু ক্ষতিপূরণ দিবেন।

এ ছাড়া সিলেট লাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলোও জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে। অবস্থা দেখলে মনে হয়, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দয়া করছেন। অথচ অন্যান্য লাইনে নতুন নতুন বগি দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এই বৈষম্য থেকে সিলেটবাসীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঢাকা-সিলেট রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জে দায়িত্বরত উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন