কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের দাফন সম্পন্ন

  19-08-2019 05:33AM

পিএনএস ডেস্ক:কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাইয়ে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয় জন সহ নিহত আট জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ঘোড়াময়দান গ্রামে ছয় জন ও করপাতি গ্রামে নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে অপর দুজনকে দাফন করা হয়েছে।

নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা ও জেলা প্রশাসন থেকে প্রদত্ত অনুদান পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরী। এসময় নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম ও জোড্ডা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।

উল্লেখ্য, লালমাই উপজেলার জামতলি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লাকসামগামী তিশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও লাকসাম থেকে কুমিল্লা গামী সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা দুই নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয় জন ও অটোরিকশার চালক এবং নিহত জসিমের দোকান কর্মচারী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত রিপাত নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর গোয়ালপট্টির বন্ধন নামে খাবার হোটেলেরর মালিক ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের ঘোড়াময়দান গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৮), তার স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪০), মা ছকিনা বেগম (৬৫), ছেলে শিপন (১৯), হৃদয় (১৬), কুমিল্লা ইচ্চচ বিদ্যালয়েরর সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও তার মেয়ে নিপু (১২), দোকান কর্মচারী একই উপজেলার পাটোয়ার গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাইমুন (১৪) ও করপাতি গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক জামাল উদ্দিন (৩৫)।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত জসিমের চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন। তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটি কাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে কুমিল্লা নগরীতে ফিরছিলেন জসিম। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হয় তারা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন