খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

  21-09-2019 09:00PM

পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাটে যেতে অন্যতম রাস্তা ২য় বুড়িগঙ্গা সেতু পার হতে হয়। তবে সেতু পার হয়ে কদমতলী গোলচত্বরের পিচ ঢালাই সড়ক ধরে কিছুটা সামনের দিকে এগোলেই যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। চুনকুটিয়া থেকে মাওয়া মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ভাঙ্গাচোরা থাকার কারণে প্রতিদিনই একটি-দুটি দুর্ঘটনা ঘটছে। একটু বৃষ্টি হলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাটি। তৈরি হয় যানযট। কোথাও উঁচু, কোথাও আবার নিচু, সড়কজুড়ে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে ঢাকা-মাওয়া বিশ্বরোডের নতুন রাস্তা পর্যন্ত বেহাল দশা। চুনকুটিয়া ও তার আশপাশ এলাকাটি অধিক জনবসতি হওয়ায় সেখানকার ভোগান্তির পরিমান টা সব চেয়ে বেশি।একাধিক বড় বড় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাসপোর্ট অফিস, র‍্যাবের কার্যালয়সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত এই রাস্তা পাশে। এ রাস্তায়ই চলছে দেশের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে উড়াল সড়কের জন্য নির্মিত বড় বড় পিলার আর তার দুই পাশের রাস্তাগুলো তে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আবার কোথাও বড় বড় টিলা। সড়কের এই অবস্থা দীর্ঘদিনের। একটু বৃষ্টি হলেই বড় গাড়ী গুলো চলাচল করলেও বন্ধ হয়ে যায় হাঁটা চলা ও ছোট যানবাহন চলাচল।

যে রাস্তায় প্রতিদিন চলে হাজার হাজার মোটরসাইকেল, সে রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও একটি মোটরসাইকেল দেখা যায়নি। তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা গুলোও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। মাঝে মাঝেই বন্ধ হয়ে যায় স্টার্ট, ছোট বড় গাড়ীগুলো অকেজো হয়ে দাঁড়িয়ে যায় রাস্তায়, সৃষ্টি হয় জ্যাম। এভাবে চলছে এই রাস্তার যানবাহন গুলো।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তাটির এ রকম বেহাল দশায় তাঁদের ভোগান্তি চরমে। ছোট-বড় গর্তে ভরা এ সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক কাত হয়ে পড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে অহরহ। রাস্তার এই বেহাল দশার কারনে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় লুকসান হচ্ছে । সেই সাথে শিক্ষার্থীদের স্কুল- কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তার কাঁদা লেগে শিক্ষার্থীদের ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে কাঁদা ও ছোট বড় গর্তে পানি জমে থাকার কারনে রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। তাই কেরানীগঞ্জবাসী গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাজাহান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো অধিকাংশই রোডস এন্ড হাইওয়ে এর আওতাধীন। আমাদের অধিনে যে কাজ গুলো আছে তা অতি শীগ্রই সংস্কার করা হবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন