সখ্যতা গড়ে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, বাবুর্চি গ্রেপ্তার

পিএনএস ডেস্ক : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ধর্ষণ করেছেন হারুন মিয়া (৩০) নামে এক বাবুর্চি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শনিবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করলে হারুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাবার নাম ধনাই মিয়া (মৃত)। তিনি উপজেলার দয়ামির ইউনিয়নের খালপার এলাকার বাসিন্দা। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার দয়ামির ইউনিয়ের খাল পার এলাকার আঙ্গুর মিয়ার কলোনীতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, ওই কলোনীতে তিন বছর ধরে ওই কিশোরী তার বাবা-মার সঙ্গে বসবাস করত। তার বাবা-মা বাবুর্চি হারুন মিয়ার সঙ্গে সহযোগী হিসাবে কাজ করেন। এ সুবাদের কিশোরীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।

গত ২৯ আগস্ট সকালে কিশোরীর মা বাবা কাজে বেরিয়ে পড়েন। রাত ৯ টার দিকে কিশোরীর মা বাসায় ফিরে হারুন মিয়া তার মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় বাবুর্চি হারুন পালিয়ে যান।

ওই কিশোরী তার মাকে পরে পুরো ঘটনা খুলে বলে। সে জানায় এর আগেও তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে হরুন। প্রাণ ভয়ে সে প্রথমে কিছু জানাতে পারেনি। জানাজানি হলে কলোনির লোকজন

বিষয়টি আপোষে মিমাংসা করতে বলেন। কিন্তু হারুন হুমকি ধমকি দিলে তারা ভয়ে অন্য কলোনিতে চলে যান।

আজ শনিবার ওই কিশোরীর মা ওসমানীনগর থানায় গিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার পর তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওসমানীনগর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হারুনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল