বর্বর নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফরিদের অবস্থার অবনতি, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

  09-10-2019 04:43PM

পিএনএস,কক্সবাজার প্রতিনিধি : সংবাদ প্রকাশের জেরে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলায় ঢাকার বাসা থেকে টেকনাথ থানা পুলিশ কর্তৃক আটক এবং পুলিশী হেফাজতে টানা ৪২ ঘন্টা তাঁর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় অত্যাচার-নির্যাতন করায়, জনতার বাণী ও কক্সবাজারবাণীর সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খানের শাররীক অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে।

কারা ব্যবস্থাপনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হলে তার শাররীক অবস্থার অবনতি দেখে, সেখানকার চিকিৎসকগণ তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।
এরই অংশ হিসাবে বুধবার দুপুরে দৈহিকভাবে পুলিশী বর্বর অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকার গুরুতর অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে কারা ব্যবস্থাপনায় চট্রগ্রামে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় ওই সূত্রটি জানায়।

তাঁর পরিবারের দাবি, সাংবাদিক হলেও ফরিদুল মোস্তফা খান একজন মানুষ। মানুষ হিসেবে রাষ্ট্র ও দেশের বিচার বিভাগের কাছে তার তো মৌলিক অধিকার রয়েছে। টেকনাফ থানা পুলিশ তাঁর মৌলিক সেই অধিকার কেড়ে নিয়ে, হত্যার উদ্দেশ্যে পৈশাচিক কায়দায় তাঁর উপর জুলুম-অত্যাচার চালায়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে কথিত মাদক, অস্ত্র এবং চোরাচালান মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠায়। অদৃশ্য কারণে রাখা হয় আইনী সহায়তা ও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে।

সচেতেন মহল এবং একাধিক বিশিষ্ট্য ব্যক্তির দাবি, টেকনাফ থানার আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহলের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করাটা যদি তার অপরাধ হয়ে থাকে, এর জন্য দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা যেতো। সেখানো সে দোষী প্রমাণিত হলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ খোদ আইনের রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, তখন সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? সরকার, দেশের বিচার বিভাগ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাঁরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন পেশাতার সাংবাদিকের উপর পুলিশের অযাচিত জুলুম ও নির্যাতন এবং দায়েরকৃত সকল মামলার দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে, আইন ও রাষ্ট্রের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস-আস্থা ক্রমেই হারিয়ে যাবে।

কারা অভ্যন্তরে বন্দি সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবণতি ঘটে। জানা যায়, তার দুটি চোখই প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। দুই হাত ও একটি পা জখমসহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া তার সারাদেহে পুলিশি বর্বরতার চিহ্ন রয়েছে। সার্বক্ষণিক যন্ত্রণায় কাতর ও অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান এখন কার্যত একজন জীবন্ত লাশ।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া বারটার দিকে (২১/০৯/২০১৯) মিরপুর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের শাহআলীবাগের প্রতীক হাসনাহেনার বাসায় অভিযান চালিয়ে কথিত গ্রেফতারি পরোওয়ানা দেখিয়ে তাকে আটক করে।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন