পিএনএস ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় মরা কালি নদীর পাড়ে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের লালন উৎসব। বাউল সম্রাট লালন শাহর ১২৯তম তিরোধান দিবস ঘিরে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো লালন অনুসারী, বাউল, সাধু আর দর্শনার্থী ছুটে এসেছেন।
তারা মূল মাজার সংলগ্ন ও সামনের মাঠে আসন গেড়েছেন। লালন একাডেমি, জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এ উৎসব চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
লালন একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে সব আয়োজন শেষ হয়েছে। অনেকে উৎসবে যোগ দিতে আগেভাগেই চলে এসেছেন। বাউলদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সাধুসঙ্গ, গান ও আলোচনার মাধ্যমে আচার পালন করবেন লালন অনুসারীরা। সরকারিভাবে আলোচনা অনুষ্ঠান ও রাতব্যাপী লালন সঙ্গীতের অয়োজন রয়েছে।
লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, এবারই প্রথম মিউজিয়ামে লালনের জীবনালেখ্য তৈরি করা হয়েছে। তার এখানে আসা থেকে শুরু করে আশ্রম তৈরিসহ জীবনের শেষবেলার নানা স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, উৎসব ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছয়টি প্রবেশপথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া নদীতেও টহল থাকবে।
লালন ফকির ১৮৯০ সালের পহেলা কার্তিক দেহত্যাগ করেন। এর পর থেকে তার অনুসারীরা তার স্মরণে এ উৎসব পালন করে আসছেন।
পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল
ছেঁউড়িয়ায় বুধবার শুরু তিন দিনের লালন উৎসব
15-10-2019 08:52PM