তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

  18-10-2019 11:49AM

পিএনএস ডেস্ক : সারা দেশের তিন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কক্সবাজারে ২, ময়মনসিংহ ও জয়পুরহাটে ১ জন করে মারা গেছে। নিহতরা ডাকাতি, মাদক ও অপহরণে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)রাত থেকে ও শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ভোররাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার: ২
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল নাফ নদ এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- জেলার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ব্লক-এ/৩ এর সোলতান আহমেদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) ও ব্লক-সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের ছেলে নূর কামাল (১৯)।

বিজিবির দাবি- নিহতরা ইয়াবা কারবারি। এ সময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি এলজি অস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি এবং দুটি লম্বা দা উদ্ধার হয়েছে।

জানা গেছে, হোয়াইক্যং বিওপির সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নাফ নদের কিনারায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় একটি নৌকায় করে কিছু লোক বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা ওঁৎ পেতে থাকেন। দু’জন লোক কূলে নামামাত্র বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা তীর দিয়ে দৌঁড় দেন। নৌকায় থাকা লোকজন নৌকাটি নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। তাদের দেখাদেখি নৌকায় থাকারাও গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

উভয়পক্ষের গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তাদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্রে তারা রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্যও আহত হন। তারা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

টেকনাফ-২ বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান বলেন, জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেশিয় তৈরি একটি এলজি, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি রাম দা ও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জয়পুরহাট: ১
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট (৩৫) নামে এক শীর্ষ অপহরণকারী নিহত হয়েছেন।

নিহত আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পিয়ারা গ্রামের মৃত শাহাবুল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক কারবার, ছিনতাইসহ প্রায় এক ডজন মামলার পলাতক আসামি ছিলেন নিহত আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট। ভোররাতে একই উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে ক্যাসেটসহ তার দলবল নতুন করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে একত্রিত হচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়।

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ক্যাসেট গুলিবিব্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

পাঁচবিবি থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ: ১
ময়মনসিংহের গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল মোতালেব (৪২) নামে পাঁচটি ডাকাতি মামলার আসামি নিহত হয়েছেন।

নিহত আব্দুল মোতালেব গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুরের ছয়ানী গ্রামের কেতু শেখ ওরফে আব্দুল গফুরের ছেলে।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ডাকাতদল- এমন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের দুটি দল সেখানে অভিযান চালায়। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। সহযোগী ডাকাতদল পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, আহত মোতালেবকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মোতালেবের বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন