চট্টগ্রামে গৃহবধূর অনৈতিক সম্পর্কের বলি বাবা-মেয়ে

  20-10-2019 06:30PM

পিএনএস ডেস্ক : মা হাসিনা বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে বাবাকে বলে দেবে বলেছিল চার বছরের শিশু ফাতেমা খাতুন। এটাই কাল হলো তার। মায়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয় সে।

সঙ্গে যোগ দেন মায়ের কথিত প্রেমিক মাইনুদ্দিন। রক্ষা পাননি ফাতেমার বাবা আবু তাহেরও। ঘরের ভেতর ঢুকতেই ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। এভাবে অনৈতিক একটি সম্পর্কের বলি হলো বাবা-মেয়ে। আজ রোববার পুলিশ জোড়া খুনের বিষয়ে এমনটাই বলেছে।

এই দুজন হলেন নিহত আবু তাহেরের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তাঁর কথিত প্রেমিক মাইনুদ্দিন।

গতকাল শনিবার সকালে নগরের বন্দর থানার নিমতলার বুচুইক্কা কলোনির একটি বাসা থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত তাহেরের বড় ভাই নুর আলম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দিন পুলিশ হাসিনাকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালী থেকে মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, হাসিনার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বনিবনা না হওয়ায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাহেরের স্ত্রী মারা যান। পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাহের ও হাসিনার বিয়ে হয়। তাহের দিনমজুর। তাদের বাসার পাশে একটি কক্ষে থাকতেন মাইনুদ্দিন। তিনি শ্রমিক সরবরাহকারী। পাশাপাশি থাকার কারণে হাসিনা ও মাইনুদ্দিনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য হাসিনা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে মেয়েকে খুন করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি পুরো ঘটনা স্বীকার করেন। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালী থেকে মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আমেনা বেগম আরও বলেন, আসামিরা স্বীকার করেছেন যে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে। চার বছরের শিশু ফাতেমা তার বাবাকে এটা বলে দেবে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে মাইনুদ্দিন শিশুটির হাত-পা চেপে ধরেন আর হাসিনা ছুরি দিয়ে মেয়েকে হত্যা করেন। পরে লাশটি খাটের ওপর রেখে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। এই ঘটনার পর বাসায় আসেন তাহের। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ঝাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই নুর আলম বলেন, অনৈতিক সম্পর্কের কারণে আর কোনো স্বামী-সন্তানকে যেন প্রাণ হারাতে না হয়। তিনি দুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন